আলিয়ার চোখে জল নেপথ্যে কারণ রানি! ছবি: সংগৃহীত।
রণবীর কপূরের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন আলিয়া। সদ্য মা হয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু জীবনের এই নতুন মোড়ে দাঁড়িয়েও অলিয়ার চোখের কোণ ভিজে গেল। মায়ানগরীতে সম্পর্কের সমীকরণ ঘন ঘন বদলায়। কিন্তু আলিয়ার মনখারাপের নেপথ্যে দাম্পত্য কলহ নয়, বরং দায়ী রানি মুখোপাধ্যায়। নিজেই জানালেন সেই অভিজ্ঞতা।
আসলে শনিবার রাতে মা সোনি রাজদান ও দিদি শাহিন ভট্টের সঙ্গে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিটি দেখতে যান আলিয়া ভট্ট। রানি অভিনীত এই ছবিটি সম্প্রতি দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আলিয়া নিজেও একজন মা। তাই পর্দার মায়ের লড়াই দেখে আর নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি রণবীর-ঘরনি। ছবি দেখতে গিয়েই চোখে জল এল আলিয়ার।
রানির ছবি যখন মুক্তি পায়, তখন স্বামী-সন্তান নিয়ে লন্ডনে আলিয়া। নিজের ৩০তম জন্মদিন পালন করতেই বিদেশে পাড়ি দেন অভিনেত্রী। তাই দেশে ফিরেই চর্চিত এই ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন আলিয়া। ছবি দেখতে দেখতে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অভিনেত্রী। রানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আলিয়া নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘শনিবার রাতে মিসেস চ্যাটার্জী দেখতে গিয়েছিলাম, চোখ ভিজে গেল এই ছবি দেখে। আমার মতো যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন, তাঁদের জন্য এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি।’’ এরই সঙ্গে আলিয়ার সংযুক্তি, ‘‘এই ছবি একেবারে ভিতরে গিয়ে নাড়া দেয়। রানি ম্যাম, আপনার মতো আর কেউ নেই। এই ছবি দেখতে দেখতেই আপনার সঙ্গে যেন নরওয়ে সফর সেরে ফেললাম।’’
দীর্ঘ সময় পর বড় পর্দায় রানি মুখোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তন হল। ১৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। এক দিকে যেমন ছবি ব্যবসা করেছে আশানুরূপ, তেমনই বিপুল পরিমাণ প্রশংসাও কুড়িয়েছে এই ছবি। সমালোচক থেকে দর্শক সকলেই মুগ্ধ রানির অভিনয়ে।
দিন কয়েক আগেই রানিকে দেখা গিয়েছিল ছবি সাফল্য উদ্যাপন করতে। সেই উপলক্ষ্যে সম্প্রতি মুম্বইয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কালো স্যুটে হাজির হয়েছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। অন্য দিকে রানি সেজেছিলেন হলুদ পোশাকে। সঙ্গে ছিলেন ছবির দুই অভিনেতা জিম সার্ভ এবং বালাজি গৌরী। কেক কেটে হল ছবির সাফল্যের উদ্যাপন। নরওয়েতে থাকা বাঙালি দম্পতি সাগরিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অনুরূপ ভট্টাচার্যের বাস্তব অভিজ্ঞতা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। একটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজের সন্তানদের জন্য মায়ের একা লড়াই এই গল্পের উপজীব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy