শিবের ভূমিকায় অক্ষয় কুমার ছবি : সংগৃহীত।
হাতে বাকি মাত্র ১০ দিন। কিন্তু গত এক মাস ধরেই এই ছবির শংসাপত্র নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে লড়ছিলেন ‘ওএমজি ২’ ছবির নির্মাতারা। এই ছবির মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় সেন্সর বোর্ড তথা সিবিএফসি। ছবি দেখে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার বিশ্লেষণ করে এক-দুটি দৃশ্যে নয়, মোট ২০টি দৃশ্যে কাঁচি চালানোর নির্দেশ দেয় সেন্সর বোর্ড। ছবি আদৌ নির্ধারিত তারিখ ১১ অগস্টেই মুক্তি পাবে কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে অবশেষে সেই জট ছাড়ল। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অর্থাৎ ১১ তারিখেই মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। তবে এ বার একটা ব্যতিক্রম ঘটল অক্ষয়ের ছবির ক্ষেত্রে। প্রথম থেকেই এই ছবিকে ‘ইউ/এ’-এর বদলে ‘এ’ শংসাপত্র দিতে আগ্রহী ছিল সেন্সর বোর্ড। শেষমেশ তা-ই হল। অক্ষয় কুমারের কেরিয়ারে প্রথম ছবি যা ‘এ’ শংসাপত্র পেল। অর্থাৎ এই ছবি শুধুই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। তবে অন্য দিকে রয়েছে সুখবরও।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমারের ছবি ‘ওএমজি: ওহ্ মাই গড’। তার ১১ বছর পরে মুক্তি পেতে চলেছে দ্বিতীয় ছবি ‘ওএমজি২’। ধর্মবিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দোলাচল ছিল প্রথম ছবির কেন্দ্রীয় বিষয়। পাশাপাশি ধর্মের নামে কুসংস্কার, অসাধু ব্যবসা চক্রের বিরুদ্ধেও কথা বলেছিল ছবিটি। ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়। এ বার সেই ছবিরই দ্বিতীয় ভাগ আসতে চলছে। কিন্তু এই ছবিকে নিয়ে নানাবিধ নিষেধ জারি করে সেন্সর বোর্ড। তবে জটমুক্ত হল ছবি। প্রথমে বলা হয়েছিল, ২০টি দৃশ্যে কাঁচি চালানো হবে। তবে ‘এ’ শংসাপত্র পাওয়ায় এখন আর সে সবের বালাই নেই। একটিও ‘কাট’ ছাড়া মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি।
দিন কয়েক আগে এই মর্মে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ছবিতে নাকি প্রাধান্য পেতে চলেছে ছবি ‘এলজিবিটিকিউ’ গোষ্ঠীর মানুষের কথা। এ ছাড়াও রয়েছে হস্তমৈথুনের দৃশ্য। আপত্তি ওঠে ছবিতে অক্ষয়ের গায়ের নীল রং নিয়ে।
‘ওএমজি ২’-তে মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যেতে চলেছে অক্ষয় কুমারকে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অক্ষয়ের সেই লুকও। দিন কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেতা। সেখানেই দেখা যায় মহাদেবের বেশে সেজেছেন অক্ষয়। মাথায় জটা, গলায় নীল আভা, চোখেমুখে ভস্ম মেখে বারাণসীর রাস্তায় হাঁটছেন তিনি। চারপাশে তখন ‘হর হর মহাদেব’ রব। সিনেমার দেবদেবীদের চরিত্রায়ণ ও ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়টি এমনিই স্পর্শকাতর। সাধারণ দর্শকের ভাবাবেগে যাতে কোনও ভাবে আঘাত না লাগে, সেই ভাবনা থেকেই এ বার অতিরিক্ত সতর্ক সেন্সর বোর্ড। তবে ‘এ’ শংসাপত্র পাওয়ায় এখন সে সবে কোনও বাধা রইল না। যদিও আগে নির্মাতারা ‘এ’ শংসাপত্র নিয়েও আপত্তি জানান। তবে ‘ইউ/এ’ শংসাপত্র পেলে ছবিতে অসংখ্য পরিবর্তন আনতে হত, বেশ কিছু দৃশ্য পুনরায় শুটিং করতে হত। সে সব ঝক্কির কথা ভেবেই শেষেমেশ সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হন নির্মাতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy