অক্ষয় কুমার।
অক্ষয় কুমারের মানহানির নোটিসের পাল্টা জবাব দিলেন ইউটিউবার রশিদ সিদ্দিকি। জানিয়ে দিলেন, অক্ষয়ের দাবি মেনে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ তিনি দেবেন না। কারণ তাঁর ভিডিয়োতে অভিনেতাকে নিয়ে কোনও কুৎসামূলক কথা ছিল না।
আইনজীবী জে পি জয়সওয়ালের মাধ্যমে পাঠানো উত্তরে রশিদ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে অক্ষয় কুমারের যাবতীয় অভিযোগ ‘মিথ্যা, হতাশাজনক এবং অবমাননাকর’। পাশাপাশি দাবি, তাঁকে হেনস্থা করার জন্যই এই মানহানির নোটিস পাঠানো হয়েছে। রশিদ জানিয়ে দেন, অক্ষয় যদি তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি প্রত্যাহার না করেন, তা হলে তিনিও এ বার আইনি সাহায্য নেবেন।
রশিদের কথায়, অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর তাঁর মতো বহু সাংবাদিক যারা স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করেন, এই খবরটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কভারেজ করেছিলেন। কারণ অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম জড়িয়ে থাকায় কোনও চ্যানেল সঠিক তথ্য প্রকাশ করেনি।
অক্ষয়কে পাঠানো উত্তরে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের বাক স্বাধীনতা আছে। সিদ্দিকির করা খবরটি অনেকদিন ধরেই পাবলিক ডোমেনে আছে এবং খবর পাওয়ার সূত্র হিসাবে অন্যান্য খবরের চ্যানেলগুলির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে, একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে সাক্ষাৎকারের পরেও অক্ষয়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয় বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিয়ো এবং ওয়েবসাইটে। সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে অভিনেতা কোনও পদক্ষেপ না করলেও শুধুমাত্র রশিদের বিরুদ্ধেই মানহানির অভিযোগ আনেন। প্রশ্ন উঠছে, আগস্ট মাসে তৈরি একটি ভিডিয়োর জন্য চার মাস পর অর্থাৎ নভেম্বর মাসে কেন মানহানির নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যত কাণ্ড ক্রিসমাসেই! ডিসেম্বরে সৃজিতের হাত ধরে ফিরছেন ফেলুদা
৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণকে ‘অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করা হয়েছে রশিদের পক্ষ থেকে। তাঁকে চাপে রাখার জন্যই এই ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে বলে মনে করছেন রশিদ।
রশিদ ইউটিউবে জানিয়েছিলেন, অক্ষয় কুমার সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মুম্বই পুলিশ এবং আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন এবং সুশান্তের প্রেমিকা রিয়াকে কানাডায় পৌঁছে দেওয়ারও পরিকল্পনা করেন । প্রসঙ্গত রশিদ জানান, সুশান্ত ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ছবিতে মুখ্য চরিত্র পাওয়ায় অক্ষয় খুশি ছিলেন না। এই ভিডিয়োগুলির উপর ভিত্তি করেই অক্ষয় তাঁকে মানহানির নোটিস পাঠান।
আরও পড়ুন: সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তি মায়ের, পারিবারিক চাপেই কি বলিউড ছেড়ে মুসলিম ধর্মগুরুকে বিয়ে সানা খানের
অন্যদিকে মুম্বই পুলিশও তাঁর বিরুদ্ধে মানহানি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপমান এবং মিথ্যে খবর ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। গত ৩ নভেম্বর স্থানীয় আদালত তদন্তে সাহায্য করার শর্তে তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy