রুদ্রনীল ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
সোহিনী সরকার এবং তৃণা সাহার মধ্যে মতানৈক্যের জেরে ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজ়ের শুটিং এখনও বন্ধ। এ দিকে এই ওয়েব সিরিজ় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তৃণা। সোমবার আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছিল, তৃণার জায়গায় রোশনি ভট্টাচার্যকে নিয়ে এই সিরিজ়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন নির্মাতারা। সিরিজ়ের অন্যতম প্রযোজক এবং সৃজনশীল পরিচালক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
শুটিং বন্ধ। এই অবস্থায় কী ভাবছেন রুদ্রনীল? আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা বললেন, ‘‘কারও মনখারাপ হতেই পারে। কোনও সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য পুরো ফ্লোরকে তো ভুগতে হল।’’ এই প্রসঙ্গে রুদ্র জানালেন, তৃণা কেন, শুটিং ফ্লোরে অন্য যে কারওই কোনও সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যত বড়ই সমস্যা হোক না কেন, ইউনিটের কথা মাথায় রেখে ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী তিনি নন। রুদ্রনীলের কথায়, ‘‘উনি আমাদের বন্ধু। তৃণা পরে ক্ষমা চেয়েছেন। আমি জানি, ওঁর মতো সৎ সাহস অনেক বড় অভিনেতারও নেই। সে জন্য আমি আনন্দিত।’’ এরই সঙ্গে রুদ্রনীলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কিন্তু ক্ষমা চাইলেই কি সব ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব?’’
ফ্লোরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে বলেই সে দিকে আর যেতে চাইলেন না রুদ্রনীল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আজকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মুম্বইতে কাজ করলে যে মেক আপ ভ্যান পেয়ে থাকেন, সেটা কিন্তু তিনি বাংলায় কাজ করতে গিয়ে দাবি করেন না। একই ভাবে প্রসেনজিৎ এবং দেব একসঙ্গে ফ্লোরে ঢুকলে, সিনিয়র হিসাবে বুম্বাদা বেশি সম্মান পাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তার জন্য দেবের মনোকষ্ট হলে সেটা তো ইউনিটের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়!’’
২৩ জুলাই ‘মাতঙ্গী’-র শুটিং শুরু হয়েছিল। চার দিনে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। নতুন অভিনেত্রীকে নিয়ে তৃণা অভিনীত অংশটি নতুন করে শুট করতে হবে। আবার এ দিকে মঙ্গলবার থেকে ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবির শুটিং শুরু করেছেন সোহিনী সরকার। ফলে নতুন করে অভিনেতাদের ডেট পেতেও কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে নির্মাতাদের। রুদ্রনীল বললেন, ‘‘এত দিনে আমাদের অর্ধেক শুটিং শেষ হয়ে যেত। ‘হাওয়াবদল ২’-এর জন্য ৮ অগস্ট আমি লন্ডন চলে যাব। তাই কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ তবে সব জটিলতা কেটে গেলে চলতি সপ্তাহেই শুটিং শুরু করতে পারে ইউনিট।
বিবাদের জেরে তৃণার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করছে ইন্ডাস্ট্রির একাংশ। তবে রুদ্রনীল কিন্তু অন্য কথা বললেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কারও পক্ষপাতী নই। তৃণা যে যন্ত্রণা থেকে কথা বলেছেন বা ওই রকম আচরণ করেছেন, আমি চাই সেখান থেকে উনি দ্রুত বেরিয়ে আসুন। ভবিষ্যতে দু’পক্ষের সব শর্ত মিললে তৃণার সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনও সমস্যা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy