কঙ্গনার কথায় এমন অনেক রাত কেটেছে রাতে খাবারটুকু জোটেনি তাঁর। জোটেনি শোবার জায়গাও। আর সেই সুযোগের ‘ফায়দাই’ নাকি নিয়েছিলেন বলিউডের বেশ কিছু বড় নামধারীরা। কী করবেন, কোথায় থাকবেন, কী ভাবে পরিচিতি বানাবেন তা নিয়ে কঙ্গনা যখন একেবারে নাজেহাল ঠিক তখনই কঙ্গনার পরিচয় হয় অভিনেতা-প্রযোজক আদিত্য পাঞ্চোলীর সঙ্গে।
অচিরেই কঙ্গনার সঙ্গে সখ্য বাড়তে থাকে আদিত্যর। দু’জনের মধ্যে বয়সের ফারাক ২১ বছর। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘এক নবাগতার সঙ্গে আদিত্যর প্রেম’-এর হেডলাইনে ভরে উঠতে পেজ-থ্রি। শোনা যায়, আদিত্যই কঙ্গনাকে পরিচয় করিয়ে দেন বলিউডের নামী পরিচালকদের সঙ্গে। স্ত্রী জারিনার সঙ্গেও সম্পর্কে ফাটল ধরে। আদিত্য কঙ্গনাকে একসঙ্গে দেখা যেতে থাকে পার্টি, রেস্তরাঁতে।
এক বার নাকি কঙ্গনাকে এমন মেরেছিলেন যে মাথা ফেটে রক্ত বেরতে শুরু করে। কঙ্গনা বলেন, “এমন জোরে ধাক্কা মারল মেঝেতে পড়ে গেলাম। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বেরতে লাগল। আমার বয়স তখন মেরেকেটে ১৭। আমি ছেড়ে দিইনি। নিজের হাওয়াই চটি দিয়ে মেরেছিলাম। তার মাথা থেকেও রক্ত বেরতে শুরু করে। সে দিন থেকেই বুঝলাম আমি জন্ম থেকেই ‘ফাইটার’।”
কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলী চান্ডেল অভিযোগ করেন, জারিনা নাকি মুখ বন্ধ করার জন্য কঙ্গনাকে দামি উপহার দিতেন। এমনকি কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর মতো নামজাদা পরিচালকের সঙ্গেও দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন কঙ্গনার। স্বামীর ‘কুকর্ম’-র কথা যাতে ফাঁস না হয়, সে জন্য কঙ্গনা প্রতি দিন কঙ্গনাকে ভাল ভাল খাবারও পাঠাতেন বলে দাবি করেন রঙ্গোলী।
যদিও জারিনা বলেন, “এ সব মিথ্যে। সাড়ে চার বছর ধরে আমার স্বামীকে ডেট করেছে ও। তার পরেও তাকে মেয়ে হিসেবে কী ভাবে ভাবতে পারি আমি। আমার মেয়ের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করছে। মানেটা কী?” জারিনা আরও যোগ করেন, “আমারই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে আবার আমার কাছেই সাহায্যের জন্য আসবে? এমনটা হয় কখনও? কথা বলবেই যখন বুঝে শুনে বলুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy