নিজের অস্তিত্ব দাবি করার জন্য একটা দিনের উপরে ভরসা করে থাকবেন না। নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে পুরুষকে খাটো করবেন না। তাই ক্যালেন্ডারের পাতায় আলাদা করে নারী দিবস বা পুরুষ দিবস থাকুক— চান না শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। একুশ শতকে এসে অভিনেত্রীর দু’চোখে স্বপ্ন, জীবনের ছোট ছোট খোপে ভালবাসা, বিশ্বাস, নির্ভরতার মতো অনুভূতি ভরে নতুন ক্যালেন্ডার লেখা হোক। যেখানে নারী এবং পুরুষের জন্য আলাদা কোনও দিন থাকবে না। যেখানে লিঙ্গভেদ মুছে নারী-পুরুষ সমান সমান হবে। শুভশ্রীর মতে, সে দিনই প্রকৃত নারী দিবস।
সাধারণ থেকে খ্যাতনামী— আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কমবেশি সকলেই নারীর জয়গান করেন। নারীশক্তির সমর্থনে ভাল ভাল কথা বলেন। এই একটি দিনই কি তা হলে নারীত্ব উদ্যাপনের? এই একটি দিনের বাইরে তা হলে নারীর অস্তিত্ব কোথায়? কেনই বা একুশ শতকে এসেও নারী দিবস পালিত হবে? নারীদের সমর্থনে আলাদা করে বলতে হবে? নারী দিবস এই প্রশ্নগুলোরও জন্ম দেয়। শুভশ্রী যেন এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন।
তাঁর ভিডিয়োবার্তা তাই শুরু হয়েছে ‘প্রিয় পুরুষ, নারী দিবসের শুভেচ্ছা’— এই বক্তব্য দিয়ে । কেন তিনি এ ভাবে কথা শুরু করলেন?
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রীর স্বপক্ষে জোরালো যুক্তি রয়েছে। তাঁর কথায়, “এক দিকে, লিঙ্গসাম্যের কথা বলব, নারী-পুরুষের সমানাধিকারের কথা বলব। অন্য দিকে, উভয়ের জন্য আলাদা দিন! এটা কেন হবে?” তাই নারী দিবস যতটা নারীর ততখানিই পুরুষেরও— দাবি তাঁর। এই অনুভূতি থেকেই শুভশ্রী মন থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সেই সমস্ত পুরুষকে, যাঁরা তাঁকে নিরাপদে রাতে বাড়ি পৌঁছে দেন। সেই সমস্ত পুরুষ পরিচালককে, যাঁরা নানা স্বাদের চরিত্রে পর্দায় তাঁকে মেলে ধরেন। শুভশ্রীর কুর্নিশ সেই সমস্ত পুরুষের প্রতিও, যাঁরা ঋতুস্রাবের সময়ে স্ত্রীকে গরম জলের ব্যাগ এগিয়ে দেন। রাস্তায় আগলে নিয়ে পথ চলেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির রান্না সেরে তবে কাজে বার হন।
২০২৫-এ দাঁড়িয়ে অভিনেত্রীর আন্তরিক চাওয়া, আগামী পৃথিবী যেন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীর পাশাপাশি পুরুষকে শুভেচ্ছা জানানোর মতো উদার হয়ে ওঠে।