পর্দায় তাঁরা যতই বিবাহবিচ্ছেদের জন্য দৌড়ন, বাস্তব কিন্তু ভিন্ন। এ বারের দোল চুটিয়ে উপভোগের পরিকল্পনা মিঠুন চক্রবর্তী-অঞ্জনা বসুর। এপ্রিলে মুক্তি পাবে জুটির প্রথম ছবি ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’। বড় পর্দায় মুক্তির আগে তারই রেশ ছোট পর্দায় ছড়িয়ে পড়তে চলেছে ১০ মার্চ। পরিচালনায় পথিকৃৎ বসু। খবর, জি বাংলার নাচের অনুষ্ঠান ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দোল খেলতে আসবেন অঞ্জনা। অবশ্যই ছবির প্রচারে। যে হেতু ‘মহাগুরু’কে বেশি দৌড়ঝাঁপ করানো যাবে না, তাই এই আয়োজন।
কী সাজে সাজাবেন নিজেকে? মিঠুনদাই বা কেমন সাজবেন? আবিরের থালায় নিশ্চয়ই লাল রং থাকবে?
আনন্দবাজার ডট কমের প্রশ্নে প্রাথমিক ভাবে মুখ খুলতে চাইছিলেন না মিঠুনের নায়িকা। তার পর জানান, এখনও কিছু স্থির করেননি। টিম থেকে নির্দিষ্ট করে দিলে সেটাই পরতে হবে। হয়তো মিঠুনও তাই-ই পরবেন। তা না হলে সাদা রঙের পোশাকে সাজবেন অঞ্জনা। “নইলে রং খেলেছি বোঝা যাবে কী করে!” অবাক প্রশ্ন তাঁর। এ-ও জানিয়েছেন, তাঁকে দায়িত্ব দিলে তিনি ‘মহাগুরু’কেও সাদা পোশাকেই সাজাবেন। আবিরের থালায় লাল আবির থাকবে, এটাও আশা করছেন।
রঙের উৎসবে স্পর্শ বড় ব্যাপার। অনেক যুগল এই উদ্যাপনে ভালবাসার স্পর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পান। আবিরের লাল রং মিশিয়ে রাঙিয়ে দেন গালে ও সিঁথিতে। আবার চূড়ান্ত অশ্লীলতাও ঘটে যায় এই উদ্যানকে কেন্দ্র করে। বিষয়টিকে কী চোখে দেখেন অঞ্জনা? তাঁর সঙ্গে কখনও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে?
অভিনেত্রীর সাফ জবাব, “কোনও অবস্থাতেই অসভ্যতাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। সেটা রঙের উৎসব হোক বা অন্য কিছু। সে রকম কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত।” স্পর্শে ভালবাসা থাকলে তা নিয়ে অবশ্য আপত্তি নেই তাঁর। অঞ্জনার মতে, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে একটুকু কথা শুনি’— এই অনুভূতি আজও অপাপবিদ্ধ।
আরও পড়ুন:
কিশোরীবেলায় দোল খেলার আড়ালে প্রেমের স্পর্শের কোনও অভিজ্ঞতা রয়েছে?
প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেছেন অঞ্জনা। জানিয়েছেন, যৌথ পরিবার। মাথার উপর ১৯ জন দাদা, তাঁদের বন্ধুবান্ধব। সারা ক্ষণ কড়া পাহারায় বড় হয়েছেন। পাড়ার কেউ তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকাতেই পারত না!
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দোল খেলবেন তিনি। পর্দার নায়ককে ঘিরে বিশেষ কোনও অনুভূতি?
মিঠুনের প্রসঙ্গ উঠতেই ফের উচ্ছ্বসিত তিনি। বললেন, “অভিনয় করতে গিয়েই তো কত বার দাদাকে স্পর্শ করেছি। রং দেওয়ার ছুতোয় আর আলাদা কী? তা ছাড়া, দাদার মুখটা মনে পড়লে শ্রদ্ধা জাগে।”