চিন্তিত পরীমণি। ছবি: ফেসবুক।
পরীমণির জীবন থেকে সমস্যা যেন যাওয়ার নয়! একের পর এক ঘাত-প্রতিঘাতে উত্তাল তাঁর জীবন। তার থেকেই প্রতি পদক্ষেপে শিক্ষা নেন তিনি। যেমন, সম্প্রতি তিনি জীবন থেকে আরও একটি বড় শিক্ষা নিলেন। শিশু আর পোষ্য— উভয়েই কোমলমতি। তাদের ঠিকমতো সামলাতে না পারলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সে কথা সবিস্তার তিনি সমাজমাধ্যমে লিখে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
কোন ঘটনা থেকে তাঁর এই উপলব্ধি? দুই বাংলার নায়িকার বাড়িতে একটি পোষ্য সারমেয় রয়েছে। নাম পুটু। পরীর ছেলে পদ্মের জন্মের আগে ওই পোষ্যই ছিল তাঁর সন্তান। এক বিছানায় ঘুমোতেন দু’জনে। পদ্ম কোলে আসতেই মায়ের অনুভূতি থেকে পুটুকে দূরে সরাতে শুরু করেন অভিনেত্রী। কারণ, মায়ের প্রাণে সদা ভয়, পাছে ছেলের কোনও ক্ষতি হয়! যদি অবুঝ সারমেয় তাকে না বুঝে আঁচড়ে বা কামড়ে দেয়। এটাই কাল হয়েছে পরীর জীবনে। যে পোষ্য তাঁর সন্তানের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে পারত, তাকেই তিনি দূরে ঠেলেছেন। এতে পোষ্যটির মনখারাপ বেড়েছে। ভয় তৈরি হয়েছে পদ্মের মনেও।
সে কথা জানিয়ে পরীর আফসোস, “পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। ইদানীং হঠাৎ আমি খেয়াল করলাম, ছেলেও পুটুর সঙ্গে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে ‘এই পুটু যাও যাও’। আমি বুঝতে পারলাম, এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে, তা-ই তো শিখবে!” এই উপলব্ধির পরে তিনি নতুন করে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা শুরু করলেন। পোষ্যের যাবতীয় যত্ন তিনি ছেলের সামনেই করতেন। এতে পদ্মের মনের ভয় দূর হল। কিন্তু পোষ্যের গেল কই! পদ্ম যত তাকে নিয়ে খেলতে চায়, সে ততই দূরে পালায়।
এই ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে নায়িকার। তিনি লিখেছেন, “আমি চেষ্টা করছি... হয়তো ও ভয় কাটিয়ে উঠবে। আমার মতো এই ভুল কেউ করবেন না আশা করি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা, দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেল আমার….।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy