ধর্মেন্দ্র বললেন, ‘‘আমি জানি না, কোথা থেকে কী হয়ে গেল! গত ৪০ বছর ধরে শরীরচর্চা করছি। কখনও কোনও দুর্ঘটনার শিকার হইনি। প্রতি দিনের মতো গত সপ্তাহেও কয়েকটি অতিরিক্ত পুশ-আপ করেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ পিঠে মারাত্মক যন্ত্রণা। দেখি, আর নড়তে পারছি না।’’
ধর্মেন্দ্র এবং সিদ্ধার্থ শুক্ল
বলিউডের নায়কদের ‘বেয়ার বডি’ বা ঊর্ধ্বাঙ্গ খুলে অভিনয়ের রাস্তা প্রথম দেখিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর পেটাই চেহারায় টি শার্ট থেকে ফুল শার্ট— সব কিছুই মানিয়ে যেত অবলীলায়। ইচ্ছেমতো শরীরকে দুমড়ে মুচড়ে কসরত করতেন। অ্যাকশনে ডামি ছাড়াই অংশ নিতেন। কিন্তু সেই দিন যে আর নেই, ঠেকে বুঝলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। এক সপ্তাহ আগেই পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন তিনি। চার দিন ভর্তি থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে। তার পরেই বুঝেছেন, ২০ বছর আগের সেই ‘গরম ধরম’ আর নেই!
এই উপলব্ধির পরেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন নেপথ্য ঘটনা। ‘‘আমি জানি না, কোথা থেকে কী হয়ে গেল! গত ৪০ বছর ধরে শরীরচর্চা করছি। কখনও কোনও দুর্ঘটনার শিকার হইনি। প্রতি দিনের মতো গত সপ্তাহেও কয়েকটি অতিরিক্ত পুশ-আপ করেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ পিঠে মারাত্মক যন্ত্রণা। দেখি, আর নড়তে পারছি না।’’ একই সঙ্গে ধর্মেন্দ্র যেন মনে পড়ালেন সিদ্ধার্থ শুক্লকে। বলিউডের একাংশের ধারণা, মাত্র ৪০-এই সিদ্ধার্থের চলে যাওয়ার একটি কারণ নাকি অতিরিক্ত শরীরচর্চা! যা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল হৃদরোগের দিকে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, অভিনেতা কি প্রশিক্ষকের নির্দেশ মেনে শরীরচর্চা করেন?
এই কৌতূহলও মিটিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, কী কী শরীরচর্চা করবেন তা তিনি খুব ভাল ভাবেই জানেন। শুধু এটা ভুলে যান, তাঁর বয়েস হয়েছে। এবং শরীরচর্চা শুরু করলে থামতে পারেন না। তাই আগের মতোই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কসরত করে যান। এ বার তাঁকে থামতে শিখতে হবে। চার দিন হাসপাতালে কাটিয়ে খুব শিক্ষা হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতার। তিনি বলেছেন, ‘‘আর আমি হাসপাতালে যেতে রাজি নই। আগামী দিনে নিজের শরীর বুঝে ব্যায়াম করব। এবং সবাইকে সে পথেই হাঁটতে বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy