রুদ্রনীল ও ভাস্বর
২০০৭-এ রুদ্রনীল ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় নাকি মিচকে শয়তান! ১৪ বছর ধরে কথাটা মনে রেখেছিলেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই এত দিনের ক্ষোভ নেটমাধ্যমে উগরে দিলেন অভিনেতা। আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে তাঁর দাবি, ‘‘আমারও যেন ১৪ বছরের বনবাস কাটল। নিজেকে ভীষণ হাল্কা লাগছে।’’ শুধু রুদ্রনীলকেই নয়, ভাস্বর তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও। ভাস্বরের ভাষায়, স্বরচিত কবিতায় রাজ্য সভাপতিকে ‘রগড়ে’ দিয়েছেন তিনিও।
১৪ বছর আগে ঠিক কী ঘটেছিল ভাস্বরের সঙ্গে? অভিনেতা জানিয়েছেন, দেবাংশু সেনগুপ্তের পরিচালনায় একটি টেলিফিল্ম ছাড়া তিনি রুদ্রনীলের সঙ্গে সে ভাবে কোনও দিন কাজ করেননি। । তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আমার সঙ্গে মাত্র একটি কাজ করেই রুদ্রনীল বুঝে গিয়েছিলেন আমি মিচকে শয়তান। সে কথা তিনি সংবামাধ্যমে ঢেঁড়া পিটিয়ে জানিয়েওছেন।’’ যদিও ভাস্বর বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করেননি। রুদ্রনীলের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেননি তখন। চুপচাপ হজম করে গিয়েছেন। ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী পরাজিত। তার পরেই ভাস্বর তোপ দেগেছেন, ‘আমি আর যা-ই হই তোর মতো ধান্দাবাজ নই। তুই বড় মাপের অভিনেতা। কিন্তু জানিস তো, অভিনেতা হোস বা নেতা আগে ভাল মানুষ হতে হয়’। অভিনেতার দাবি, নির্বাচনে পরাজয় রুদ্রনীলের কাছে শাপে বর হয়ে ফিরেছে। এ বার যদি তাঁর অভিনেতা বন্ধুর চোখ খোলে। একই সঙ্গে আন্তরিক প্রার্থনা, ‘ভাল মানুষ হয়ে ওঠ। দেখবি নিজেকেই নিজের ভাল লাগবে’।
ভাস্বরের যুক্তি, তিনি চট করে কাউকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন না। কারণ, মানুষ চিনতে সারা জীবন লেগে যায়। তবে অকারণে তাঁকে কেউ অপমান করলে ছেড়ে কথা বলেন না। একই ভাবে যেমন দিলীপ ঘোষকে কবিতা বার্তায় উপযুক্ত জবাব ফেরত দিয়েছেন তিনি। লোপামুদ্রা মিত্রের জনপ্রিয় গান, ‘বেণীমাধব’-এর ভঙ্গিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিকে ‘দিলীপ জেঠু’ সম্বোধনের পাশাপাশি তুলোধোনা করে ছেড়েছেন। এ বিষয়েও তাঁর যুক্তি, ‘‘উনি শিল্পীদের রগড়ে দেবেন বলেছিলেন না? এ বার তো ওঁকে শিল্পীদের রগড়ানি খেতেই হবে।’’
অনুরাগীরাও ভাস্বরকে সমর্থন জানিয়েছেন খুল্লামখুল্লা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে, ‘আপনাদের আর্টিস্ট ফোরামের উচিত রুদ্রনীলকে নিষিদ্ধ করা। কোনও কাজ যেন উনি না পান সেটা দেখা। সব অন্যায়ের শাস্তি কিন্তু পাওয়া উচিত।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy