সহকারী পিন্টু দে-র আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত এক অভিযুক্ত ধরা পড়তেই আশ্বস্ত অঙ্কুশ হাজরা।
সহকারী পিন্টু দে-র আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত এক অভিযুক্ত ধরা পড়তেই আশ্বস্ত অঙ্কুশ হাজরা। ‘১ অপরাধী গ্রেফতার, আমি খুশি বাপ্পাদা’, শনিবার রাতে ইনস্টাগ্রামে এ ভাবেই অনুভূতি প্রকাশ করলেন তিনি। একই সঙ্গে অভিমান তাঁর, ‘তোমার কষ্টের কথা এক বার বলতে পারতে! সব চেপে এ ভাবে ছেড়ে চলে গেলে?’ দাবি, বাপ্পাদার অভাব কেউ পূরণ করতে পারবে না।
অঘটনের দিন আনন্দবাজার ডিজিটালকে অঙ্কুশ জানিয়েছিলেন, লাগাতার ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল পিন্টু দে ওরফে বাপ্পাদাকে। প্রশাসন সূত্র জেনেছেন, প্রায়ই টাকা চেয়ে উড়ো ফোন, হুমকি বার্তা আসত সহকারীর মুঠোফোনে। দেড় মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকাও নাকি দিয়েছিলেন বাপ্পা। লাগাতার এই মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহননের পথ বেছে নেন। ইনস্টাগ্রামে অঙ্কুশ আরও জানিয়েছেন, ‘প্রশাসনের ভূমিকায় আমি খুশি। তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছে। এত দ্রুত অপরাধী ধরা পড়বে ভাবতে পারিনি'। পাশাপাশি আক্ষেপ অভিনেতার, বাপ্পাদার অনুপস্থিতি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছেন। তাঁর কথায়, ‘শ্যুটিং, শো-এ যাচ্ছি। তোমায় মনে পড়ছে। তোমার মতো করে আর কেউ আমার দেখভাল করবে না'।
২ মার্চ কাঁকুড়গাছিতে নিজের বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বছর ৩৪-এর পিন্টু। এর পরেই মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে পিন্টুর পরিবার, অঙ্কুশ এবং তাঁর বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সেন প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার রাজস্থানের ভরতপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত আয়ুব খান। পুলিশ তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে জেনেছে, ‘টাকা না দিলে নেটমাধ্যমে ভিডিয়ো ফাঁস’ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অঙ্কুশের সহকারীকে। এছাড়াও, হুমকি ফোন যেত হোয়াটসঅ্যাপ কলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy