সুদীপ্তা এবং বিশ্বনাথ।
১২ এপ্রিল থেকে জি বাংলার ‘সুদীপার রান্নাঘর’-এ দারুণ হইচই। সপ্তাহ জুড়ে ভাল-মন্দ রান্না আর অতিথিদের ভিড়। সেখানেই ফাঁস দুটো নতুন খবর। রান্নায় পারদর্শী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় জিলিপি বানাতে গিয়ে নাকি বোঁদে বানিয়ে ফেলেছেন! সাক্ষী আরেক অভিনেতা-সঞ্চালক বিশ্বনাথ বসু। প্রচারিত প্রোমো বলছে, ‘রান্নাঘর’-এ আমন্ত্রিত এক অতিথি জিলিপি বানাবেন। আরামকেদারা ছেড়ে বিশ্বনাথ উঠে এসেছেন নিজের চোখে জিলিপি বানানো দেখবেন বলে। যুক্তি, "আবার লকডাউন হলে পাড়ায় জিলিপির দোকান খুলব।" অতিথির কাছে সুদীপার আবদার"‘আমাকে একটু সুযোগ দেবেন? প্রথম জিলিপিটা যদি আমি বানাই...।" তখনই ঘটল বিপত্তি!
অতিথি খুশি মনে উপকরণ তুলে দিয়েছেন রান্নাঘরের কর্ত্রীর হাতে। বিশ্বনাথের টিপ্পনি, "তোমার মধ্যে যেমন প্যাঁচ আছে, ও রকম করার চেষ্টা কর!" সুদীপা যে আদৌ প্যাঁচালো নন, প্রমাণ মিলল সঙ্গে সঙ্গে। আড়াই প্যাঁচের বদলে প্যাঁচের পর প্যাঁচ দিয়েই যাচ্ছেন। আর সেই প্যাঁচ খুলে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে। এ দিকে বিশ্বনাথের ধারাভাষ্য, "সুদীপার জিলিপি। ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ মানচিত্র!" নিজের হাতের কাজ দেখে মনখারাপ কুকারি শো-য়ের সঞ্চালিকার। যদিও অতিথির আশ্বাস, এ রকম ছোট ছোট বোঁদেও রসে ফেলে খেতে বেশ লাগে। বিশ্বনাথের আবারও সংযোজন, "সুদীপা জিলিপি করতে গিয়ে বোঁদে করেছে। পরের বার রসগোল্লা করতে গিয়ে নিখুঁতি করবে!" হাসি-মজায় জমজমাট কুকারি শো।
এ দিকে বিশ্বনাথও ঘটিয়েছেন একাধিক কাণ্ড। কী রকম? সুদীপার সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে অভিনেতার স্বীকারোক্তি, সবাই এখন বুঝতে পারছেন একা বাড়িতে থাকা কী মুশকিলের। তাই পড়শির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। তবেই আনন্দে জীবন কাটানো সম্ভব। এর পরেই বিশ্বনাথের বক্তব্য, "কতক্ষণ আর টিভি দেখা যায়?" সুদীপা চোখ বড় বড় করতেই পুরোটা সামলিয়ে নিয়ে বলেছেন, "যদিও জি বাংলার কুকারি শো-টি ভীষণই ভাল।"
কথা আরও একটু এগোতেই প্রকাশ্যে এল বিশ্বনাথের দ্বিতীয় কীর্তি। নিজেই জানালেন, "আমি ছোটবেলা থেকে শুধু রোববারে কাগজ নিই। কেন জান?" কারণ জানতে চাইতেই অভিনেতা অকপট, ‘পাত্রী চাই’-এর বিজ্ঞাপনে মেয়েদের বিবরণ পড়বেন বলে! শুনেই হেসে খুন সুদীপা। পাল্টা জানতে চেয়েছেন, বিয়ের পরে এখনও বিশ্বনাথ ‘পাত্রী চাই’য়ের বিজ্ঞাপন দেখেন? জবাবে বিশ্বনাথের যুক্তি, "আমি পাঁচতারা হোটেলে থাকতে পারছি না বলে ছবিও দেখব না?"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy