ময়দানে শুটিংয়ে
প্রথম হিন্দি ছবিতে (টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস) ক্রিকেট খেলোয়াড়। দ্বিতীয় ছবিতে ফুটবলার। তবে যে-সে ফুটবলার নয়, কিংবদন্তি চুনী গোস্বামী। অমিত শর্মার ফুটবল এপিক ‘ময়দান’-এর জন্য সম্প্রতি কলকাতায় শুট করে গেলেন চৈতী ঘোষালের ছেলে অমর্ত্য রায়। ছবিতে কোচ সৈয়দ আবদুল রহিমের চরিত্রে অজয় দেবগণ। তাঁর সঙ্গেও অনেক দৃশ্য শুট করেছেন নবাগত। ‘উড়নচণ্ডী’ দিয়ে বাংলা ছবিতে ডেবিউ করেছিলেন অমর্ত্য।
লখনউয়ে অজয়ের সঙ্গে প্রথম দেখা অমর্ত্যের। ‘‘প্রথম যে দিন আমাদের সঙ্গে স্যরের আলাপ হল, উনি এত সহজ ভাবে মিশে গেলেন, মনেই হল না সুপারস্টারের সঙ্গে কথা বলছি।’’ অজয় এমনিতে খুব কম কথা বলেন। ‘‘একটা শটে আমরা মাঠে ড্রিল করছি। অজয় স্যর সেটা করাচ্ছেন। তার পরে স্যরের ক্লোজ় আপ শট ছিল। আমি এমন অ্যাঙ্গলে দাঁড়িয়েছিলাম, আমার আই লাইন ওঁর সঙ্গে ম্যাচ করছিল। ক্যামেরার ভিউয়ের বাইরে থেকেও আমি নিজের মতো খেলার শট দিচ্ছিলাম। শটের শেষে আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্যর হাসতে হাসতে হাল্কা করে আমার পেটে একটা পাঞ্চ করেন। ওটাই আমার স্যরের সঙ্গে নিজস্ব একটা মুহূর্ত,’’ নস্টালজিয়া নবীন অভিনেতার।
কলকাতার মাঠে-ময়দানে অমর্ত্যের অনেক অ্যাকশন সিকোয়েন্স ছিল। ‘‘আমার হাত-পা ছড়ে গিয়েছিল। এক বার পড়ে যাওয়ায় অজয় স্যর সঙ্গে সঙ্গে ফিজ়িওকে ডেকে পাঠান। আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আরও কয়েক বার পড়ে যেতে পারবি তো?’’ হাসতে হাসতে বলছিলেন অভিনেতা।
ছবির টিমকে অমর্ত্য কথা দিয়েছিলেন, বাঙালি খাবার খাওয়াবেন। শুটিংয়ের শেষ দিনে সরষে ইলিশ ও চিংড়ি মালাইকারি নিয়ে এসেছিলেন অমর্ত্য। ‘‘টিমের একটি ছেলে তো চিংড়ির বাটি নিয়ে দৌড়চ্ছিল। পিছনে আরও কয়েক জন। অজয় স্যরের স্ত্রী বাঙালি। স্যরও খুব উৎসাহী ছিলেন, ইলিশ খাবেন বলে। আমাকে ‘বাঙালি বাবু’ বলে মজা করেন। বকুনিও দেন বাংলায়।’’
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, তাই অমর্ত্যের কাছে প্রত্যাশাও বেশি পরিচালকের। ‘‘কলকাতায় শেষ দিনের শুটে স্যর প্রশংসা করেছিলেন। সেটা ইনস্পায়ারিং,’’ বললেন অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy