যতটা সম্মান স্বামীর পরিবারের তরফে পাওয়া উচিত ছিল ততটা তিনি পাননি। রাজ বব্বর-স্মিতা পাতিলের দাম্পত্য নিয়ে এমন কানাঘুষো প্রায়ই শোনা যেত বলিপাড়ায়। সেই গুঞ্জনেই সিলমোহর দিতে যেন উঠেপড়ে লেগেছেন প্রতীক স্মিতা পাতিল। যিনি মঙ্গলবার বাবার পরিচয় ‘বব্বর’ ত্যাগ করে পদবি হিসেবে নিজের নামের সঙ্গে মায়ের নাম জুড়ে নিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই সরব হয়েছেন রাজের প্রথম পক্ষের ছেলে আর্য বব্বর। জানা গিয়েছে, তিনি রীতিমতো হঁশিয়ারি দিয়েছেন সৎভাইকে। জানিয়েছেন, আগামী দিনে তাঁর ভাই আর যেন পিতৃপরিচয়ের দিকে হাত না বাড়ান!
প্রতীক সম্প্রতি বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সময় থেকেই পারিবারিক কলহ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এই বিয়েতে দেখা যায়নি রাজ এবং আর্যকে। তা হলে রটনা নয়, সত্যিই স্মিতা উপেক্ষিত তাঁর শ্বশুরবাড়িতে? তাই তাঁর সন্তানের বিয়েতে রাজ ও তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানেরা অনুপস্থিত? আলোচনা হয়েছে বিস্তর। মুখ খুলেছেন প্রতীকের সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীও। আর তার পরেই পদবি পাল্টানোর মতো বড় সিদ্ধান্ত নেন প্রতীক।
বিয়ের পর প্রিয়া ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছিলেন, খারাপ সময়ে বাবা বা বৈমাত্রেয় ভাইকে পাশে পাননি প্রতীক। তাঁরা কখনও প্রতীককে আপন করে নিতে পারেননি। যদিও রাজের প্রথম পক্ষের কন্যা জুহি জানান, তাঁর সঙ্গে প্রতীকের কোনও মনোমালিন্য নেই। তাঁদের মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক অটুট।
আরও পড়ুন:
এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন প্রতীক। জানিয়েছেন, এত দিনে বুঝি তাঁর মায়ের আত্মা তৃপ্ত হল। মায়ের নাম নিজের নামের সঙ্গে জড়িয়ে একই ভাবে তিনিও তৃপ্ত। অদ্ভুত ভাললাগায় বুঁদ তিনি! এ-ও বলেন, “বব্বর পদবি ত্যাগ করায় পেশাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না জানি না। তবে পদবি বদলানোর আগে বা পরে এই নিয়ে কোনও দ্বিধা মনে জায়গা পায়নি।” মাকে সম্মান জানাতেই এই কাজ করেছেন অভিনেতা, দাবি তাঁর।
অন্য দিকে, সৎমা স্মিতাকে অস্বীকার করেননি রাজ বব্বরের প্রথম পক্ষের সন্তান আর্যও। তিনি বলেন, “স্মিতা আমাদেরও মা।”