অংশুমান গায়কোয়াড়
• ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮৩। আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য ।
• নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি।
• ওই কঠিন সময়েও ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অধিনায়কত্ব।
• দলে নবীন-প্রবীণের সমান গুরুত্ব। জুনিয়রদের বুঝতে না দেওয়া যে টিমে সচিন তেন্ডুলকর বা অনিল কুম্বলের মতো দিকপাল সিনিয়রদের বিচরণ।
• নাছোড় মনোভাব। সৌরভের একটা আলাদা মডেল ছিল-নেভার সে ডাই। সেটাই পরবর্তী কালে ভোল পাল্টে দেয় ভারতীয় ক্রিকেটের।
ভেঙ্কটেশ প্রসাদ
• সৌরভের আবেগ দেখেছিলাম ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে। লর্ডসের বারান্দায় জামা ঘুরিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে বুঝিয়েছিল-আমাদের সঙ্গে চ্যালে়ঞ্জ নিতে এসো না।
• আলাপের বহু আগে থেকেই শুনেছিলাম যে ক্রিকেট মহলে ওর ব্যঙ্গাত্মক নাম প্রিন্স। ১৯৯৬-েত সৌরভ যখন প্রথম টেস্টে শতরান করল, আমরা অবাক হয়ে দেখলাম ওর ব্যাটিং ক্যারিশমা। বুঝলাম, সৌরভ সত্যিই ক্রিকেটের প্রিন্স।
• ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-তে ওর অধিনায়কত্ব ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদেরও মোটিভেট করেছিল।
• ২০০১-য়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আনঅফিশিয়াল টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিল সৌরভ। ক্রিকেট বিশ্ব তখন মাইক ডেনিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসছে, এমন সময় সৌরভ এরকমই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
• সৌরভ চিরকালই নতুনদের হয়ে লড়াই করে গেছে। সেটাই ওর ইউএসপি। ওর মতো ক্যাপ্টেন আমি খুব বেশি দেখিনি।
বিনোদ কাম্বলি
• প্রথম দেখা ১৯৮৮-র অনূর্ধ্ব ১৯ ইংল্যান্ড সফরে। আমরা তখন ১৬ কিংবা ১৭। সেই সফরে ওর কভার ড্রাইভ দেখে আমি আর সচিন মুগ্ধ হয়েছিলাম। মনে আছে, একদিন ওকে বলেছিলাম: “এই যে ভাই, একটু স্ট্রেট ড্রাইভ খেলে দেখা তো।”
• সালটা মনে নেই, তবে সৌরভ তখনও জাতীয় দলের সদস্য নয়। একটা ঘরোয়া ম্যাচে কোনও এক স্পিনারকে যে ভাবে পরপর স্টেপ আউট করে ছয় মেরেছিল, আই ওয়াজ ইমপ্রেস্ড।
• ১৯৯৬য়ে ওর ডেবিউ সেঞ্চুরিটা আজও আমার কাছে স্পেশাল।
• চাপের মুখে নতি স্বীকার না করা বরাবরই ওর ইউএসপি।
• অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে সৌরভ কিন্তু এক-য়ে নয়। ধোনিও না। ওই জায়গাটা আজহারউদ্দিনের। সৌরভ দু’য়ে। আর ধোনি তিন-এ। আজহারউদ্দিন অমর হলে, সৌরভ আকবর, ধোনি অ্যান্টনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy