প্রতীকী চিত্র।
এইচআরএ (হাউজ রেন্ট অ্যালাওয়েন্স) পেতে গেলে মানতে হবে ১৩ দফা শর্ত। শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত দম্পতিদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা এত দিন পর্যন্ত বাড়ি ভাড়ার ভাতা বাবদ টাকার আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই এই সুযোগ নিতেন বলে শিক্ষা দফতরের খবর। এ বার তা রুখতেই কড়া শর্ত চাপাল বিকাশ ভবন।
বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা পেতে গেলে এ বার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুল থেকে বাসস্থানের দূরত্ব ন্যূনতম ৫০ কিলোমিটারের বেশি হতে হবে এবং সেখান থেকে যাতায়াতের কী সমস্যা রয়েছে, তা উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী দম্পতি যদি চাকরি সূত্রে ভিন্ন ভিন্ন জায়গার বাসিন্দা হন, তারও প্রমাণপত্র দিতে হবে। বাড়ি ভাড়া করলে প্রমাণ হিসাবে সেই বাড়ি ভাড়ার রসিদ দেখাতে হবে। এই ধরনের কোনও প্রমাণপত্র ছাড়াই এত দিন স্কুল জেলা পরিদর্শকদের মাধ্যমে বাড়ি ভাড়ার টাকার আবেদন করা হত। এই অনৈতিক সুবিধা আটকাতে এ বার নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দফতর।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “স্বামী-স্ত্রী দু’জনে চাকরি করলে উভয়েই পুরো বাড়ি ভাড়া ভাতা পেতে চাইলে বিকাশ ভবনের দেওয়া শর্তগুলো মানতে হবে এটা অনস্বীকার্য। কিন্তু এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে আমাদের রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বাড়িভাড়া ভাতা পান। এই বৈষম্য দূর হওয়া দরকার।”
প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বামী- স্ত্রী উভয়েই যদি ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে চাকরি করেন, সে ক্ষেত্রে এইচআরএ হিসাবে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পাবেন। যদি দু’জনেই আলাদা জায়গায় থাকেন এবং কর্মস্থলের দূরত্ব অনেকটাই বেশি হয়, তখন তাঁরা পৃথক ভাবে ১২ হাজার টাকা এইচআরএ হিসাবে পাবেন। যদিও শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্য, কেউ যদি ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকেন, সে ক্ষেত্রে প্রমাণ কেন দিতে হবে? এখন প্রত্যেক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর এমপ্লয়ি আইডি কোড রয়েছে, তা থেকে সহজেই জানা যাবে কর্মস্থল থেকে তাঁদের বাসস্থানের দূরত্ব।
কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “ স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই স্কুল শিক্ষক হলে পৃথক ভাবে বাড়ি ভাড়া ভাতা পাওয়ার আবেদনপত্রের সরলীকরণ প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা ১৫০ কিমি দূরত্বের স্কুলে চাকরি করলেও আলাদা থাকা সংক্রান্ত যা কাগজ চাওয়া হচ্ছে। তা অপ্রয়োজনীয় বলেই আমরা মনে করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy