বিজেপির ‘৩৪+৫’ বাতিল করল কমিশন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
ক্লাসরুমে দিদিমণি প্রশ্ন করছেন, ৩৪ আর ৫ যোগ করলে কত হয়? এক ছাত্র জবাব দিচ্ছে— ‘শূন্য’। সে বলছে, এর মানে— বামফ্রন্টের ৩৪ আর তৃণমূলের ৫ বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই ৩৪+৫ মানে শূন্য।
এমনই ছিল বিজেপির একটি ভোটের বি়জ্ঞাপন। বিভিন্ন চ্যানেল থেকে শুরু করে ইউটিউবেও দেখানো হচ্ছিল সেটি। স্কুলপড়ুয়াদের এ ভাবে ভোটের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ পেয়ে সেই বিজ্ঞাপনটি এ বার বাতিল করে দিল নির্বাচন কমিশন। যে সব গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হচ্ছিল, সেখান থেকে অবিলম্বে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে তারা। বিজেপি জানিয়েছে, কমিশনের নির্দেশ তারা মেনে নিচ্ছে।
সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে কমিশনের নিয়মমাফিক অনুমতি নিয়েই বিজেপি ওই বিজ্ঞাপনটি দেখানো শুরু করেছিল। কিন্তু ভোটের বিজ্ঞাপনে স্কুলপড়ুয়াদের ব্যবহারের বিরোধিতা করে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগ পেয়ে ফের বৈঠকে বসে কমিশন। বৈঠকে বিজ্ঞাপনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তৃণমূলের আইনজীবী সঞ্জয় বসু বলেন,‘‘শিশু মনে বিরূপ প্রভাব ফেলা এই বি়জ্ঞাপন বাতিল করে কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।’’ তাঁর মতে, স্কুলশিক্ষা এবং নিষ্পাপ শিশুদের মনে যে ভাবে রাজনীতি ভরে দেওয়া চেষ্টা হয়েছিল, যে ভাবে ভোটের রাজনীতিতে তাদের জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা ‘নিন্দনীয়’। কমিশন সেই চেষ্টাই রুখেছে।
গণতন্ত্র নিয়ে উঠল প্রশ্ন
যে গণতন্ত্রের বড়াই করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী নেতাজির নাতি চন্দ্র বসু। আসানসোলের নির্বাচনী জনসভায় মোদীর অভিযোগ, ভবানীপুরে বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না তাঁদের প্রার্থী। স্থানীয় মানুষ শাসকদলের ভয়ে চন্দ্রবাবুকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সাহস দেখাতে পারছেন না। মোদীর প্রশ্ন, ‘‘এটা কি গণতন্ত্র?’’
সভায় হামলা
বিজেপির সভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর সদর থানা এলাকার ঘটনা। বিজেপির অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ সভা চলাকালীন বেশ কিছু মহিলা এসে সভা বন্ধ করতে বলেন। কিছু পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা হয়।
দুই বুথে ফের ভোট
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের প্রস্তাব মেনে দু’টি বুথে ফের ভোটগ্রহণের কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ১১ এপ্রিল মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনে এবং রানিবাঁধ কেন্দ্রের রানিবাঁধ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট হবে।
ইস্তফা সুদীপের
সিপিএম-কংগ্রেস জোটের প্রতিবাদের প্রথম ধাপ হিসেবে ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায়বর্মন। আজ বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে তিনি স্পিকার রমেন্দ্রচন্দ্র দেবের হাতে তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy