বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং।
পাহাড়ের ৩টি আসন ‘বন্ধু দল’ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম)-র বিমল গুরুং গোষ্ঠীকে ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোট গণনার প্রবণতা বলছে, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয় সত্ত্বেও পাহাড়ে লাভ হয়নি বিমলের। এমনকি, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানও পায়নি পাহাড়ের একদা অবিসংবাদী নেতা বিমলের দল। সেখানে মূল লড়াই হয়েছে বিনয় তামাং-অনিক থাপার নেতৃত্বাধীন মোর্চা-গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপি-র।
দার্জিলিংয়ে বিনয়-অনিক গোষ্ঠীর প্রার্থী কেশবরাজ পোখরেল শর্মা প্রায় ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপি-র ঝুলিতে এসেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট। বিমল গোষ্ঠীর প্রার্থী পেম্বা শেরিং ওলা ১৯ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছেন। কালিম্পংয়েও প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিনয়-অনিক গোষ্ঠীর প্রার্থী রুদেন সদা লেপচা। বিজেপি ৩৩ শতাংশ এবং বিমল গোষ্ঠীর প্রার্থী রাম ভুজেল ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
কার্শিয়াং কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সেখানে ৪০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন পদ্ম প্রতীকের প্রার্থী বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা ওরফে বি পি বজগঁই। বিনয়-অনিক গোষ্ঠীর প্রার্থী শেরিং লামা দহাল পেয়েছেন প্রায় ৩২ শতাংশ ভোট। বিমল গোষ্ঠীর প্রার্থী নরবু লামা ২০ শতাংশের সামান্য বেশি। বিধানসভা ভোটের আগে পাহাড়ের ১৩টি জনজাতি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথমঞ্চের তরফে বিনয়-অনিক গোষ্ঠীকে সমর্থন জানানো হয়েছিল। রাজ্য সরকার গঠিত তামাং, লেপচা, ভুটিয়া, লিম্বু, মুঙ্গের, খাম্বুরাই, ভুজেল, কামি, দামাই, নেওয়ার, থামি, খাস এবং গুরুং গোষ্ঠীর উন্নয়ন বোর্ডের সেই সমর্থনের জোরেই বিনয়-অনিকরা তাঁদের প্রাক্তন নেতা বিমলকে পিছনে ফেললেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy