মদন মিত্র।
প্রায় ছ’বছর পর অবশেষে পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন মদন মিত্রের। নিজের পুরনো কেন্দ্র কামারহাটিতেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেনএই তৃণমূল প্রার্থী।
পাঁচ বছর আগের বিধানসভা নির্বাচনে আসনটি হাতছাড়া হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর। পরিষদীয় রাজনীতিতে ফিরতে চাওয়া মদন তার পরেও ভাটপাড়ার উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে জিততে পারেননি। রবিবারের ফলাফলের পর জয়ের সেই খরা কাটল মদনের।
২০১৬ সালে কামারহাটিতে সাড়ে ৪ হাজারের কিছু কম ভোটে হেরেছিলেন মদন। সেবার জয়ী হয় সিপিএম। রবিবারের ফলাফল বলছে সেই সিপিএম এবং বিজেপির প্রার্থীর সঙ্গে মদনের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক যথাক্রমে ৪৪ হাজার এবং ৩৩ হাজারের। দুর্নীতির অভিযোগ, হাজতবাস, পর পর হারের ধারাবাহিকতা পেরিয়ে এই জয়কে তাই মদনের প্রত্যাবর্তন হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
২০১১ সালে কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছিলেন মদন। তিন বছরের মধ্যেই তাঁর নাম জড়ায় সারদা কেলেঙ্কারিতে। এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হন তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী মদন। সারদা-কাণ্ডের জেরে ২০১৫ সালে ইস্তফাও দেন মন্ত্রিত্ব এবং বিধায়ক পদ থেকে। পরে ২০১৬ সালে কামারহাটি বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে হেরে যান মদন।
তারপর থেকে সক্রিয় রাজনীতির মঞ্চ থেকে দূরেই থেকেছেন মদন। বরং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যক্তিত্ব হিসবেই নিজের একটা পরিচয় বানিয়েছিলেন তিনি। ফেসবুকে মদন মিত্র লাইভ, কিংবা মদনের প্যারডি গানের ভিডিয়োর জনপ্রিয়তা নেটাগরিকদের একটি অংশের পছন্দের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছে। তবে পরিষদীয় রাজনীতিতে আসার চেষ্টা জারি ছিল মদনের। ২০১৯ সালে ভাটপাড়ায় অর্জুন সিংহের আসনে উপনির্বাচনে মদন মিত্রকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করান তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও মদন সেই নির্বাচনে জিততে পারেননি। তারপরও ২০২১ সালের নীলবাড়ির লড়াইয়ে মদনের হাতেই কামারহাটির দায়িত্ব তুলে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই জয়ী হয়ে পরিষদীয় রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরলেন মদন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy