—ফাইল চিত্র।
চার মাস আগে বিজেপি-র ভোটবাক্সের হিসেব কষে দিয়েছিলেন তিনি। রবিবার তা অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে। নীলবাড়ির লড়াইয়ে দুই সংখ্যাতেই আটকে রয়েছে বিজেপি। তা নিয়ে নেটমাধ্যম যখন প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে, সেই সময়ই ভোটকুশলীর কাজ থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রশান্ত কিশোর। সহকর্মীদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিজের সংস্থা আইপ্যাক ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত রাজ্যে ২০২ আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮৬ আসনে। গত দু’বছর ধরে যে ভাবে বাংলায় দাপট দেখিয়েছে গেরুয়া বাহিনী, সেই পরিস্থিতিতে তাঁর জাদুদণ্ডই তৃণমূলকে পথ সাফল্যের পথ দেখিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করলে প্রশান্ত বলেন, ‘‘দিদিকে সাহায্য করতে পেরে খুশি আমি। এই জয়ের মধ্যেও জানিয়ে রাখি যে আমি এই কাজ ছাড়ছি। আর এই কাজ করতে চাই না। অনেক হয়েছে। সহকর্মীদের হাতে আইপ্যাকের দায়িত্ব তুলে দিয়ে জীবনে অন্য কিছু করতে চাই আমি।’’
ভোট পরামর্শদাতার ভূমিকা থেকে অবসর নেওয়ার পর কী করবেন তা যদিও খোলসা করেননি প্রশান্ত। তবে এর আগে নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) সহ সভাপতি পদে ছিলেন। কিন্তু বিহারে নীতীশ বিজেপি-র হাত ধরার পরই তাঁর সঙ্গে এবং তাঁর দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেন প্রশান্ত। এ বার কি তাহলে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবেন প্রশান্ত, বাংলার রাজনীতিতেই কি দেখা যেতে পারে তাঁকে, তা যদিও খোলসা করেননি তিনি।
তবে নিজে ভোটকুশলীর ভূমিকা ছাড়তে চললেও, রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রশান্ত। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। প্রশান্ত বলেন, ‘‘কমিশন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করত, তাহলে বিজেপি যত টুকু ভোট পেয়েছে, তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারত না। বিজেপি-কে জেতাতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেনি তারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy