পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘুরে ফিরে আসে জঙ্গলমহলের নাম।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ঘুরে ফিরে আসে জঙ্গলমহলের নাম। সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা না থাকলেও ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া-র ১২টি আসনকে চিহ্নিত করা হয় ওই নামে। ২০১৬ সালে ওই আসনগুলির অধিকাংশই ছিল শাসকদলের দখলে। যদিও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দু’টি আসন বাদে বাকিগুলিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে এই ১২টি আসনের সবক’টিতেই জয় আসবে বলে ধরে নিয়েছিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু ফল বেরতেই দেখা গেল, জঙ্গলমহল চুরমার করেছে বিজেপি-র স্বপ্ন। ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২টিতে জিততে পেরেছে মোদী-শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি।
জঙ্গলমহলের এই আসনগুলিতে রয়েছে আদিবাসী ভোটের প্রাধান্য। সেই ভোটের বড় একটি অংশ লোকসভা নির্বাচনে গিয়েছিল বিজেপি-র পক্ষে। জঙ্গলমহলে তৃণমূলের সংগঠন গড়তে শুভেন্দু অধিকারীরও ভূমিকা ছিল। সেই শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর জঙ্গলমহল দখলে আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল বিজেপি-র। কিন্তু ২ মে বুমেরাং হয়ে ফিরেছে বিজেপি-র সেই ‘স্বপ্ন’।
ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, বিনপুর বিধানসভা কেন্দ্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, বাঘমুণ্ডি, জয়পুর এবং বলরামপুর। বাঁকুড়ার তালডাংরা, রাইপুর, রানিবাঁধ। এই ১২টি আসন নিয়েই জঙ্গলমহল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঘমুণ্ডি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। বাকি সব ক’টি আসনেই ফুটছিল জোড়াফুল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভায় বদলে যায় চিত্র। শালবনি এবং বিনপুর বাদে বাকি আসনগুলিতে ভোটের হিসাবে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই ফলই জঙ্গলমহল নিয়ে বাড়িয়েছিল বিজেপি-র আশা। দু’বছরের মধ্যেই বিজেপি-র হাত থেকে বেরিয়ে গেল জঙ্গলমহল। পুরুলিয়ার জয়পুর এবং বাঁকুড়ার রাইপুরে আসন ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। বাকি সব আসনই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy