বীরবাহা হাঁসদা । —নিজস্ব চিত্র
ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েই বীরবাহা হাঁসদা কৃতজ্ঞতা জানালেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বীরবাহার নাম নিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তাঁকে তৃণমূল প্রার্থী করছে খবর পেয়ে এলাকায় জনসংযোগও শুরু করেছিলেন সাঁওতালি সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা। কিন্তু সে সময় তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি।
বীরবাহা হাঁসদা শুক্রবার বলেন, ‘‘মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য দিদিকে ধন্যবাদ। সিনেমা জগৎ থেকে এসে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আগেই নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলাম কিন্তু সেই সুযোগ পায়নি। এ বার সেই সুযোগ পাব বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।” ঝাড়খন্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী তাঁর মা চুনিবালা কী করবেন, ‘সেটা মায়ের বিষয়’ বলেও এড়িয়ে গিয়েছেন বীরবাহা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খন্ড পার্টি (নরেন)-এর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বীরবাহা। তাঁর বাবা, বিনপুরের প্রয়াত বিধাক নরেন হাঁসদা তৈরি করেছিলেন ওই দল। নরেনের স্ত্রী চুনিবালা হাঁসদাও বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত। নরেনের প্রয়াণের পরে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) পরিচালনার দায়িত্ব নেন চুনিবালা।
চুনিবালা শুক্রবার বলেন, ‘‘বীরবাহা প্রার্থী হয়েছে শুনে খুব ভালো লেগেছে। মেয়ে বড় হয়েছে। তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। ওর বাবা বিধায়ক হিসেবে এলাকার মানুষদের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। সেই কাজের বাকি অংশ আমি বিধায়ক হিসেবে করার চেষ্টা করেছি। এ বার মেয়ে সেই সুযোগ পেয়েছে।’’
চুনি জানান, তাঁর মেয়ে পড়াশুনা করেছে ঝাড়গাম শহরেই। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খন্ড পার্টি (নরেন) করে আসছেন তাঁরা। নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে দলের অন্দরে এবং সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়েছে এবং আগামী দিনেও বসা হবে। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় মাওবাদী আন্দোলনের পর থেকে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নরেন হাঁসদার চিন্তাধারা কেউ ভোলেনি এবং ভুলবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy