প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূল-সহ অন্য দল থেকে নেতা এবং কর্মী ভাঙিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করাচ্ছে বিজেপি। এখন বিধানসভা ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়েছে শুক্রবার। তার পরেও তৃণমূল ভাঙানোর কৌশল অব্যাহত রাখছে বিজেপি। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে যাঁরা বিক্ষুব্ধ, তাঁদের অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হতে পারেন বলে এ দিন মেদিনীপুরে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা কি বিজেপির টিকিট পেতে পারেন? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘আগে আসুক। তার পর আমরা ভেবে দেখব।’’ কেউ কি যোগাযোগ করেছেন?
দিলীপবাবুর দাবি, ‘‘অনেকেই যোগাযোগ করেছেন।’’ বিক্ষুব্ধদের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা কতখানি, সে প্রশ্নে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘সম্ভাবনা আছে কি না, সেটা তো এখনই বলা যাবে না। কারা আসছেন, কী ভাবে আসছেন, কী চাইছেন, সে সব জানার পরে বিবেচনা করা হবে।’’ ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহও এ দিন কলকাতায় দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে বলেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নিজেদের নাম দেখার আশা করে হতাশ হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অনেকেই বিজেপিতে যোগ দেবেন। যাঁরা ওই দলে টিকিট চাননি, এমন অনেকেও বিজেপিতে আসবেন।’’ উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছ থেকে নিজের পছন্দের কেন্দ্র না পাওয়ার জন্যই বিজেপিতে চলে গিয়ে সেখানে প্রার্থী হয়েছিলেন অর্জুন।
দিলীপবাবু এবং অর্জুনের ওই বক্তব্যের জবাবে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘বিজেপির নিজেদেরই এখন হাঁড়ির হাল। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেই নাকানি-চোবানি অবস্থা। এখন তৃণমূলের দলছুট খোঁজা ছাড়া ওদের অস্তিত্ব বাঁচানোর আর উপায় নেই। ওদের দেখে করুণা হয়।’’
মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে আরও দু’টি প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, একটি জেলার পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তার অভিনেত্রী-স্ত্রীকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে, যা ‘অনৈতিক’। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানাবে বিজেপি। তৃণমূলের আর এক প্রার্থী অপরাধমূলক কাজের অভিযোগে এক বার কলকাতা বিমানবন্দরে সিআইএসএফ-এর হাতে ধরা পড়েছিলেন বলেও বিজেপির দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy