বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে ১০ অঙ্গীকার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। বৃহস্পতিবার নিজেহাতে তৃণমূলের ইস্তার প্রকাশ করেন মমতা। তাতে প্রত্যেক পরিবারের ন্যূনতম রোজগারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যেমন দিয়েছেন, তেমনই ঘরে ঘরে সস্তায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার খড়্গপুরের জনসভা থেকে সেই নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় উন্নয়নের পথে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দিদি। আপনারা বিশ্বাস করেছিলেন দিদিকে। কিন্তু উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আপনাদের স্বপ্ন চুরচুর করে দিয়েছেন ১০ বছরে বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আঝেক ১০ অঙ্গীকারের কথা বলছেন দিদি। বাংলার মানুষ আপনাকে ১০ বছর সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি লুঠতরাজের সরকার চালিয়ে গিয়েছেন। ১০ বছরে শুরু দুর্নীতি দিয়েছেন। কুশাসন দিয়েছেন।’’
মুখ্যমন্ত্রী বাংলার যুবসমাজের কাছ থেকে জীবনের ১০টি মূল্যবান বছর কেড়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের অস্থিরতা বুঝি। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে বছরের পর বছর ধরে সহ্য করে আসছেন। দিদি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে এসেছেন বরাবর। বাংলার যুবসমাজের কাছ থেকে ১০ বছর কেড়ে দিয়েছেন দিদি। দিদির দল নির্মমতার পাঠশালা। সিলেবাস হচ্ছে তোলাবাজি। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস কাটমানি। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস সিন্ডিকেট। দিদির পাঠশালায় উৎপীড়ন এবং অরাজকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’’
প্রচারপর্বের একেবারে গোড়া থেকে বিজেপি নেতৃত্বের মুখে বার বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উঠে এসেছে। খড়্গপুরে প্রধানমন্ত্রীর মুখেও ফের উঠে আসে ‘ভাইপো’ কটাক্ষ। মোদী বলেন, ‘‘বাকি রাজ্যে উন্নয়নে সিঙ্গল উইন্ডো, বাংলায় চলে ভাইপো উইন্ডো। সুবর্ণরেখা এবং কংসাবদী নদীতে বেআইনি খননের তার কোথায় গিয়ে জুড়েছে, তা সকলেই জানে। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতা এলে এর বিচার হবে। বাংলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে।’’
নীলবাড়ির লড়াইয়ে অভিনেতা হিরণকে খড়্গপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁরকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি সেখানে পদযাত্রা করে গিয়েছেন অমিত শাহ।
সরাসরি আপডেট—
• ১২.২৩: আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য: মোদী
• ১২.২১: পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে আপনাদের ভোটাধিকারকে পিষে দিয়েছিলেন, তা গোটা দুনিয়া দেখেছে। আমি কথা দিচ্ছি দিদিকে গণতন্ত্রকে পদদলিত করতে দেব না। পুলিশ-প্রশাসনকেও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। নির্ভয়ে ভোট দিন আপনারা। একসঙগে রুখে দাঁড়ার অরাজকতার বিরুদ্ধে: মোদী
• ১২.১৯: বাংলায় শুধু সিঙ্গল উইন্ডো ভাইপো। তা এড়িয়ে বাংলায় কিছু হওয়ার জো নেই। গত ১০ বছরে তৃণমূল রোজগারের সমস্ত সম্ভাবনার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। সিন্ডিকেট রাজত্বে জন্য বাংলায় কোনও শিল্প আসেনি। এখানে শুধু একটাই ব্যবসা, মাফিয়া ব্যবসা। সুবর্ণরেখা এবং কংসাবদী নদীতে বেআইনি খননের তার কোথায় গিয়ে জুড়েছে, তা সকলেই জানে। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতা এলে এর বিচার হবে: মোদী
• ১২.১০: গরিবের ছেলে ডাক্তার হোক, তাতেও আপত্তি দিদির। তাই নতুন শিক্ষানীতি চালু করতে চাইছেন না। যুবসমাজের ভবিষ্যৎ ভাবিত নন দিদি। বাংলার যুবসমাজ, মা-বোন, দরিদ্র, দলিতদের আশ্বাস দিচ্ছি, দিদিকে বাংলার যুবসমাজের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলতে দেব না। বলে বেড়াচ্ছেন খেলা হবে। কিন্তু গোটা বাংলা বলছে, খেলা শেষ হবে। উনন্য়ন শুরু হবে। দিদির কাছ থেকে ১০ বছরের হিসাব চাইছেন বাংলার মানুষ। জবাব দেওয়ার পরিবর্তে অত্যাচার চালাচ্ছেন। অনেক বলেছি, কিন্তু কথা কানেই তোলেন না। আমপান ত্রাণের হিসেব নেই, রেশন দুর্নীতির হিসেব নেই: মোদী
• ১২.০৮: আপনাদের অস্থিরতা বুঝি। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলকে বছরের পর বছর ধরে সহ্য করে আসছেন। দিদি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে এসেছেন বরাবর। বাংলার যুবসমাজের কাছ থেকে ১০ বছর কেড়ে দিয়েছেন দিদি। দিদির দল নির্মমতার পাঠশালা। সিলেবাস হচ্ছে তোলাবাজি। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস কাটমানি। দিদির পাঠশালায় সিলেবাস সিন্ডিকেট। দিদির পাঠশালায় উৎপীড়ন এবং অরাজকতার ট্রেনিং দেওয়া হয়: মোদী
• ১২.০৬: কাল রাতে ৫০-৫৫ মিনিটের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ডাউন হয়ে গিয়েছিল। মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। বাংলায় তো ৫০-৫৫ ধরে উন্নতিই আটকে রয়েছে: মোদী
• ১২.০৫: বাংলায় উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দিদি। আপনারা বিশ্বাস করেছেন, উনি আপনাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আপনাদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন। ১০ বছরে বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আজ ১০ অঙ্গীকারের কথা বলছেন দিদি। বাংলার মানুষ আপনাকে ১০ বছর সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু আপনি লুঠতরাজের সরকার চালিয়েছেন। ১০ বছর ধরে শুধু দুর্নীতি দিয়েছেন, কুশাসন দিয়েছেন: মোদী
• ১২.০২: অন্য যে রাজ্যে বিজেপি সরকার রয়েছে, সেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্যে বিজেপি-র ডাবল ইঞ্জিন সরকার জনতার সেবা করে চলেছে। আপনারাই বলুন, কোথাও গাড়ি বা বাস যদি গর্তে পড়ে যায়, তাকে বার করে আনতে যাত্রীদের নেমে এক দিকে ধাক্কা দিতে হত তো? দু’দিক থেকে বিভিন্ন দিকে ধাক্কা দিলে গাড়ি উঠবে না। তাই আপনাদের এক দিকে এগিয়ে আসতে হবে: মোদী
• ১২.০০: বিজেপি জনসঙ্ঘের ছত্রযায় তৈরি, যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সেই অর্থে বিজেপি-ই সঠিক অর্থে বাংলার দল: মোদী
• ১১.৫৫: গত ৭০ বছরে অনেককে সুযোগ দিয়েছেন আপনারা। আমাদের পাঁচ বছর দিন, আমরা ৭০ বছরের ক্ষতি পুষিয়ে দেব। আপনাদের কল্যাণে প্রাণপাত করে দেব: মোদী
• ১১.৫৫: দলকে জেতানোর জন্য গত কয়েক বছরে শান্তিতে ঘুমোননি দিলীপ ঘোষ। দিদির ধমকেও ভয় পাননি। ওঁর উপর অনেক হামলা হয়েছে, মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন। তাই বলছি, এ বার বিজেপি সরকার: মোদী
• ১১.৫১: মানুষের ভিড় বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাংলায় এ বার বিজেপি সরকার: মোদী
• ১১.৪৭: বাংলায় পরিবর্তনের জন্য আমাদের ১৪৬ জন প্রাণ দিয়েছেন। আমাকে বিধায়ক করেছিলেন। সাংসদ করেছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল হয়ে গিয়েছে, এ বার ফাইনাল: দিলীপ
• ১১.৪৫: নন্দীগ্রাম আপনাকে নবান্নে পৌঁছে দিয়েছিলেন দিদি, এ বার তাঁরাই আপনাকে কালীঘাটে অবসরে পাঠাবেন: দিলীপ
• ১১.৪৩: মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান না। এসে দেখে যান কত হাজার হাজার লোক এসেছেন। আপনি নিজের মুখ দেখাতে পারছেন না, তাই পা দেখাচ্ছেন। রাজ্যের সরকার এখন হুইল চেয়ারে। রাজ্যের মানুষকে কাজের জন্য বাইরে কাজে যেতে হচ্ছে। মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্কুলে গিয়ে মিড ডে মিল খেয়ে চলে আসতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। পড়াশোনার ব্যবস্থা নেই। শিল্পকে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন আপনি। আজ এখানেও ন্যানো তৈরি হতে পারত, লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ পেতে পারতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই ন্যানো আসতে পারেনি বাংলায়: দিলীপ
• ১১.৪২: পাঁচ বছর আগে যখন প্রধানমন্ত্রী খড়্গপুরে এসেছিলেন, তখন বিধানসভায় জায়গা পেতে লড়াই করছিল বিজেপি। আজ নবান্ন দখলের লড়াই লড়ছে বিজেপি: বিজেপি
• ১১.৩৫: বিএনআর মাঠে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী।
• ১১.০৫: খড়্গপুরের ঘরে ছেলে সকলের পকেট ফাঁকা করে দিচ্ছেন। এঁকে সরাতেই হবে: হিরণ
• ১১.০২: রাজ্যে ১৩৮ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। হত্যাকারীদের বুক যেন কেপে ওঠে। ভয় মুক্ত সন্ত্রাস মুক্ত করতে হবে: হিরণ
• ১১.০০: খড়্গপুরে মানুষকে ভয় দেখিয়ে রাখে গুন্ডা-তোলাবাজরা: হিরণ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy