ফাইল চিত্র।
আবার তিনি আসছেন ফিরে। এ বার মাঠ ভরবে তো! অমিত শাহের সভার আগে বুক ধুকপুকুনি যাচ্ছে না ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি নেতৃত্বের।
আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে আসছেন ঝাড়গ্রাম জেলায়। গোপীবল্লভপুর বিধানসভার অন্তর্গত সাঁকরাইল ব্লকের রগড়ার হাইস্কুল মাঠে সভা করবেন অমিত। তাঁর এই সভায় লোক ভরানো যে, অগ্নিপরীক্ষা আড়ালে তা মানছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। কারণ, গত ১৫ মার্চ ঝাড়গ্রাম শহরে অমিতের নির্বাচনী প্রচার সভাতে লোক হয়নি। কপ্টার বিভ্রাটের কারণ দেখিয়ে ঝাড়গ্রামের সভায় আসেননি অমিত। তবে ওই সভায় ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় অমিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রচার চলাকালীন তিনি জেলায় আসবেন। প্রতিশ্রুতি পালন করছেন অমিত। এ বারও সভায় লোক না হলে বিষয়টি যে খুব একটা স্বস্তির হবে না তা মানছে গেরুয়া শিবির। তাই বাড়ছে ‘চাপ’ও।
শুধু তো অমিতের সভা নয়। লোক ভরাতে না পেরে মুখ পুড়েছে তার আগেও। গত ৯ ফেব্রুয়ারি লালগড়ে দলের সভায় এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। লোক হয়নি সে সভাতেও। ফলে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। কেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় বড় জমায়েত করা যাচ্ছে না? গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, দলের অন্দরেই রয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। জেলা সভাপতি দিলীপ ঘোষের খাসতালুকেই ক্ষোভ রয়েছে একাংশ কর্মীর। জেলার রাজনীতিতে দিলীপের পছন্দের লোকজনের প্রাধান্য রয়েছে। তাই কি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন দিলীপ বিরোধী শিবিরের লোকজনেরা! বিজেপির অন্দরের সমীকরণে অনুরণ সেনাপতি দিলীপ বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিতি। নানা ঘটনায় তাঁকে কেন্দ্রে করে কম বিতর্ক হয়নি দলে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বারে শাহের সভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অনুরণকে। তিনি জানাচ্ছেন, কম করে ২৫ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। বিজেপির অন্দরের খবর, গোপীবল্লভপুর বিধানসভা এলাকা থেকে বেশি লোকজন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার আরও তিনটি বিধানসভা এলাকা থেকেও লোকজন আনা হবে। বুধবার দলের প্রচার কর্মসূচিতে গোপীবল্লভপুরে এসেছিলেন দিলীপ। এ দিন জেলা নেতাদের দিলীপ জানিয়ে দেন, অমিত শাহের সভায় বিপুল জমায়েত করতেই হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, ১২০টি বাস ও পাঁচশো ছোট-বড় গাড়িতে লোক নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে ওই সংখ্যক যানবাহনে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জমায়েত করা যাবে? অনুরণের জবাব, ‘‘আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ হেঁটে, সাইকেলে ও মোটর বাইকে আসবেন।’’ ছোট মাঠের একপাশে শাহের কপ্টার নামার জন্য হেলিপ্যাড করা হয়েছে। বিজেপির একাংশ বলছেন, খুব বেশি হলে মাঠে পাঁচ-ছয় হাজারের বেশি লোক ভরানোর পরিস্থিতি নেই। জেলার এক বিজেপি নেতা বলছেন, ‘‘রগড়া স্কুল মাঠের সভাস্থলের যা আয়তন, তাতে ছয়-সাত হাজার মত লোক ধরবে। বেশি লোক এলে মাঠ ছড়িয়ে এলাকা জনসমুদ্র মনে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মুখরক্ষার জন্য ঠাসাঠাসি জমায়েতটাই জরুরি!’’
প্রথম পরীক্ষায় জুটেছিল কমপার্টমেন্টাল। ফের এসেছে সুযোগ। ঝাঁপাচ্ছেন দিলীপ। কাজে লাগানো হচ্ছে অনুরণকেও। তাই করোনার ‘ঠাস, ঠাস, দ্রুম, দ্রাম’ শুনে মনে যতই খটকা লাগুক না কেন, ঠাসাঠাসি ভিড় করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy