বাঁকুড়ার সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদীর। নিজস্ব চিত্র।
ভোটপ্রচারে জোড়াফুল শিবিরের আঁকা ব্যঙ্গচিত্রের কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। আর সেই বিষয়কে টেনে এনে রবিবার বাঁকুড়ার তিলাবেদিয়ার সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন মোদী। সম্প্রতি হুগলির তারকেশ্বরে আঁকা একটি ব্যঙ্গচিত্র ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। আর সেই কথা ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে মোদীর বক্তব্যে।
পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা। সেই পায়ের তলায় এক প্রৌঢ়ের মুখ। বিজেপি-র দাবি সেই প্রৌঢ়ের মুখ আসলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে। তারকেশ্বরের রামচন্দ্রপুর এলাকায় ভোটপ্রচারে আঁকা ওই ব্যঙ্গচিত্র ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিতর্কের রেশ ধাক্কা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকেও। তা টের পাওয়া গেল রবিবার, বাঁকুড়ায়। তিলাবেদিয়ার জনসভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে মোদী টেনে আনেন ওই ব্যঙ্গচিত্রের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘‘দিদি, এখন আমার উপর তাঁর রাগ দেখাচ্ছেন। দিদির লোক আজকাল দেওয়াল চিত্র আঁকছে। আমার মাথা নিয়ে ফুটবল খেলছে। আপনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন এ ভাবে?’’ এই সূত্রেই আবেগে ঘা দেওয়ার চেষ্টা করে মোদীর দাবি, ‘‘আমি আজ দিদিকে বার্তা দিতে চাই যে আমি আমার মাথা ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে ঝুঁকিয়েই রেখেছি। এটাই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সংস্কার। তাই দিদি, আপনি চাইলে আমার মাথায় পা রাখতে পারেন, আর লাথিও মারতে পারেন। কিন্তু আপনাকে আমি আর বাংলার বিকাশের উপর লাথি মারতে দেব না।’’
রবিবার বাঁকুড়ায় মোদী যখন তৃণমূলকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগছেন, তার কিছুটা আগে কাঁথি এবং নন্দকুমার এলাকায় তিনটি জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, উত্তর কাঁথির মারিশদার সভা থেকে বিজেপি-কে নিশানা করে মমতা স্বকীয় ভঙ্গিমায় বলেন, ‘‘তোমরা আমার পা ভেঙে দিয়েছ। ভেবেছ এক পায়ে কিছু করতে পারব না। ওই এক পায়েই এমন শট মারব, বাংলার বাইরে গিয়ে পড়বে।’’
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের আঁকা ওই ব্যঙ্গচিত্র ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় তারকেশ্বরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কালীতলা এলাকায়। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের সদ্য প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে। দিন চারেকের মাথায়, সেই ব্যঙ্গচিত্রের কথা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরে রবিবার চমক দিয়েছেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy