বৈদ্যবাটিতে তৃণমূলের দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জের সভায় বলেছিলেন, ‘‘একটা হোঁদল কুতকুত, অন্যটা কিম্ভূত কিমাকার।’’ রাজ্যনীতির কারবারিদের জল্পনা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উদ্দেশ করেই ওই বিশেষণ প্রয়োগ করেছিলেন তিনি।
নেত্রীর সেই ‘বিশেষণ’ এ বার দেওয়াল লিখনের ব্যঙ্গচিত্রে তুলে এনেছেন হুগলির তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সঙ্গে তাঁরা মনের মাধুরী মিশিয়ে অমিতকে তুলনা করেছেন সুকুমার রায়ের আবোল তাবোলের চরিত্র কুমড়ো পটাশের সঙ্গেও। সেই সঙ্গে দেওয়াল লিখনে উঠে এসেছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান।
ভোট এলেই ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয় দেওয়ালে দেওয়ালে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচারের একটা দিক হল এই ব্যঙ্গচিত্র আর সঙ্গে মানানসই লেখা। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যকে বঙ্গ ভোটে তুলে ধরার রেওয়াজ বহু দিনের।এ বারও তার ব্যত্যয় হয়নি। তৃণমূল কর্মীরা মোদি-শাহের ব্যঙ্গচিত্র দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। বৈদ্যবাটি-শেওড়াফুলির বিভিন্ন দেওয়ালে এখন দেখা যাচ্ছে সেই সব ছবি। আর সঙ্গে ছড়া। পাশাপাশি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি থেকে স্বাস্থ্যসাথী কর্মসূচিও উঠে আসছে তৃণমূলের দেওয়াল-প্রচারে।
হুগলির বিজেপি নেতারা অবশ্য ভোটের প্রচারে ব্যঙ্গচিত্রের এই ব্যবহাররকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সেই সঙ্গেই খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলকে। বিজেপি নেতা ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজনীতিতে ব্যঙ্গচিত্র থাকে। এটা আমরাও করছি। এটা একটা শিল্প। ব্যঙ্গচিত্র কোনও খারাপ ব্যাপার নয়। তবে এ রাজ্যে আবার ব্যঙ্গচিত্র করলে অম্বিকেশ মহাপাত্রের মতো অবস্থা হয়। যদিও এখন পুরো বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তাই সে রকম কিছু ঘটাতে পারবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy