প্রতীকী ছবি।
গণতন্ত্রের উৎসবে খরচও দেদার!
বিধানসভা ভোটের বিপুল আয়োজন করতে হচ্ছে রাজ্যকে। করোনা পরবর্তী সাবধানতা নিতে গিয়ে খরচের বহরও এ বার লাগামছাড়া। শুধুমাত্র এ বারের বাজেটেই ভোটের খরচ হিসাবে ৪০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। ২০২০-২১ এর সংশোধিত বাজেটে দেখা যাচ্ছে, প্রস্তুতি নিতেই বেরিয়ে গিয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ভোটের খরচ এখনই ধরা হচ্ছে ৫৫০ কোটি টাকা। এর পর রয়েছে ১ লক্ষ আধা সেনা মোতায়েন এবং পুলিশি খরচ। তা অন্তত ৭০০ কোটি টাকা হবে বলে মনে করছেন নির্বাচনী অফিসারেরা। সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোট নিয়ে নতুন সরকার গঠনের জন্য অন্তত ১২৫০ কোটি টাকা রাজকোষের খরচ হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন।
তবে প্রশাসনিক এক কর্তার দাবি, শুধু ভোটের খরচ ৪০০ কোটি ধরা হলেও তা আদতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, সব ভোটারের হাতে দস্তানা পড়িয়ে এবারই প্রথম ভোট হচ্ছে।
দেশের লোকসভা নির্বাচনের পুরো খরচ বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র ভোটার তালিকা তৈরির খরচ আধাআধি ভাগ হয়। তবে বিধানসভা ভোটের পুরো খরচই অবশ্য রাজ্যকে বহন করতে হয়। একই ভাবে পঞ্চায়েত পুরসভা ভোটের খরচও পুরোটাই রাজ্যের।
ফলে আসন্ন বিধানসভা ভোটের ৫৫০ কোটি এবং পুলিশ মোতায়েনের ৭০০ কোটি রাজ্যের কোষাগার থেকেই যাবে।
গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটেও রাজ্য সরকারের শুধু নির্বাচন পরিচালনা করতে ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচও ছিল ৫০০ কোটির বেশি। এখনও সরকার সেই টাকা পুরোপুরি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে মেটাতে পারেনি। তবে এ বারের খরচের বহর মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণ করোনা সতর্কতা। করোনার কারণে প্রায় ১৫ হাজার বুথ বেড়েছে। সেই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরিতেও বিরাট খরচ হবে। বয়স্কদের ভোট কেন্দ্রে আনা বা কর্মীদের করোনা বিধি মেনে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রেও অঙ্কের খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলে সরকারি কর্তারা জানাচ্ছেন।
এ তো গেল শুধুমাত্র সরকারি খরচ। রাজনৈতিক দলগুলির খরচ ধরলে ভোটের ময়দানে লক্ষ্মীর কারবার জমজমাট থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলে দিল্লিস্থিত গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজ মনে করে। যা ২০১৪ এর লোকসভা ভোটের চেয়ে ৪০% বেশি। ওই গবেষণা সংস্থার দাবি, এই খরচের সিংহভাগ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়। ২০১৪ সালে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপনের খরচ ২৫০ কোটি হয়ে থাকলে ২০১৯-এ তা হয়েছে ৫০০০ কোটির কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনেও সোশাল মিডিয়ার খরচ মাত্রাতিরিক্ত বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy