জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মে বিশ্বাস রাখলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। যোগ দিলেন বিজেপি-তে। তবে সেই যোগদান তাঁর নতুন দলের উপরে কতটা বিশ্বাস রেখে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল। বরং, রাজনৈতিক মহলে তাঁর সঙ্গে তুলনা হচ্ছে সোনালি গুহর। কারণ, দু’জনেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। এবং বিজেপি-তে যোগের তৎপরতা শুরু করেন।
২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণ আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন দীপেন্দু। কিন্তু দল এ বার আর তাকে প্রার্থী করেনি। আর তার ক্ষোভ তৃণমূলের তালিকা ঘোষণা দিন থেকেই প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি। জল্পনা তৈরি হয়েছিল দলবদল নিয়ে। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন সেটাও প্রকাশ্যে এসে যায়। এ বার সব জল্পনা সত্যি হল।
ফুটবল মাঠের স্ট্রাইকার দীপেন্দু অনেকবারই ময়দানের দলবদল করেছেন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান তিন প্রধানের জার্সিই তাঁর গায়ে উঠেছে। ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিও পরেছেন। এ বার পরলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জার্সি। এখন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর দীপেন্দুর রাজনীতিতে যোগ ২০১৪ সালে। বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বার বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্যের কাছে হেরে গলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি শমীককেই বড় ব্যবধানে হারান। এ বার নীলবাড়ির লড়াইতে তিনি পদ্মের প্রার্থী হবেন কিনা সেটা অবশ্য এখনই বলা যাবে না। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, তেমনটাই চান দীপেন্দু।
ফুটবল ময়দানে ২০০-র বেশি গোলের মালিক দীপেন্দু রাজনীতির ময়দানে কার্যত গোল খেয়ে যান। নীলবাড়ির লড়াইয়ে প্রার্থিপদ না পেয়ে দীপেন্দু প্রথম ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেট মাধ্যমে। গত শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর পরই নেটমাধ্যমে দীপেন্দু লেখেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরের রাজনৈতিক লড়াইয়ে একবার বাদে প্রতিবার ভোটের লড়াইয়ে দলকে জিতিয়েছি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সর্বক্ষণ। আমার ব্যবহারে কেউ দুঃখ পেলে ক্ষমা করবেন’। এর পর নিজের মনের কথাও সরাসরি বলেন, সংবাদমাধ্যমকে। বলেন, ‘‘ফুটবল বা ক্রিকেটে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। আমি এটাই জেনে এসেছি। আমি তো ফুটবলার। আমার কাছে ভাল খেলাটাই বড় কথা ছিল। এখন রাজনীতিতে এসেছি। সেখানেও পারফরম্যান্সই শেষ কথা বলে জানতাম। আমি সাধ্যমতো মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’’ সেই সঙ্গে দলের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আমাকে প্রার্থী করা হল না কেন সেটা আমি দলের কাছেই জানতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy