নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারের ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ভেটাগুড়ির ১ নম্বর এলাকায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দিনহাটা থানা ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কর্মীরা।
তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার মধ্যরাতে বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। একই সঙ্গে রাত্রি দেড়টা নাগাদ দলের অঞ্চল সভাপতি অনন্ত বর্মণের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। দিনহাটা শহর ব্লক এর যুব তৃণমূলের সভাপতি জয় ঘোষ বলেন, “ভেটাগুড়ির মানুষ দেখতে পাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের অত্যাচার দিনকে দিন কোন পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, তৃণমূল প্রত্যেকটি অঞ্চলে এবং প্রত্যেকটি বুথে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। তা দেখে বিজেপি-র পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। তাই রাতের অন্ধকারে চোরের মত দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করছে। এর পরই জয় হুঁশিয়ারি দেন, “আমরা দেখতে চাই আগামী দিনে নিশীথ প্রামাণিক ভেটাগুড়িতে থাকতে পারে কিনা?” ভেটাগুড়িতে বিজেপি-কে সভা করতেও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জয়।
বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। কোন্দলের ফলেই এই ঘটনা। বিজেপি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।” ভেটাগুড়িতে বিজেপি-র সভা করতে দেওয়া হবে না, জয় ঘোষের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্জয় বলেন, “নির্বাচন ঘোষণার পর জয় ঘোষ এই ধরনের কথা বলে নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করেছেন। আর জয় ঘোষ যদি চ্যালেঞ্জ করে থাকেন আমরাও সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। জয় ঘোষ ভেটাগুড়ি এলাকায় বিজেপি-র একটি সভা আটকে দেখাক। তিনি দিনহাটা শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy