Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Assembly Election 2021

Bengal Polls: ‘ভোটদান’ শুরু রাজ্যে, অশীতিপর, অসুস্থ এবং প্রতিবন্ধীদের বাড়ি গিয়ে ভোট নিচ্ছে কমিশন

করোনা পরিস্থিতিতে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গত বছর ভোটগ্রহণে এই পন্থা প্রথম নেওয়া হয়। তবে বাংলায় এ ভাবে ভোটগ্রহণ এই প্রথম।

ভোটগ্রহণ চলছে ঝাড়গ্রামে।

ভোটগ্রহণ চলছে ঝাড়গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২১ ১৮:৫৫
Share: Save:

মঙ্গলবার থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল রাজ্যে। কমিশনের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, রাজ্যে এ বার মোট ৮ দফায় ভোটগ্রহণ। ২৭ মার্চ প্রথম দফার ভোট। তার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং অশীতিপরদের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেল। করোনা পরিস্থিতিতে বিহারে গত বছর ভোটগ্রহণে এই পন্থা প্রথম নেওয়া হয়। বাংলার ক্ষেত্রেও সেই পন্থাই অনুসরণ করা হচ্ছে। সোমবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে এই ভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এর আগে এ ভাবে ভোটগ্রহণ বাংলায় আগে হয়নি।

আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত এ ভাবেই ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ভোটগ্রহণ চলবে। ভিন্ন ভাবে সক্ষম এবং ৮০-র ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, সেই ভোটারের সংখ্যা সেখানে ৫ হাজার ৫৬৬। ঝাড়গ্রামের মতো বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করা হবে। যদিও তার দু’দিন আগে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে পোস্টাল ব্যালট এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সেখানে ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভিন্ ভাবে সক্ষম এবং অশীতিপর ভোটারের সংখ্যা ৯ হাজার ৫১৯। তার জন্য ১৬৪ জনের দল তৈরি করেছে কমিশন। প্রতিটি দলে এক জন ভোটকর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’জন, রাজ্য পুলিশের দুই কর্মী এবং এক জন চিত্রগ্রাহক থাকছেন।

মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা থেকেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সেখানকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬৩ এবং ১৬৪ নম্বর বুথ এলাকায় কোন কোন বাড়িতে বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং অশীতিপর সদস্য রয়েছেন, সে সম্পর্কে আগেই তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছিলেন ভোটকর্মীরা। সেই মতো কাজ শুরু হয় সকাল থেকে।

তবে এই ভোটগ্রহণ ঘিরেও ঝামেলাও বেধেছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পুরাতন ঝাড়গ্রাম এলাকায় কমিশনের কর্মীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিজেপি-র লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল। দলের নেতা সোমনাথ দে বলেন, ‘‘শুধু প্রভাবিতই নয়, বিজেপি-র লোকজন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে গিয়ে ভোটারদের পদ্মে ভোট দেওয়াচ্ছেন।’’ যদিও সোমনাথের অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা বসাক। তিনি বলেন, ‘কমিশনের থেকে অনেকটাই দূরত্ব বজায় রেখেছিলাম আমরা। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীও তো রয়েছে! এ সব মিথ্যে অভিযোগ।’’

কমিশন বিজেপি-র লোকজনের প্রতি বিশেষ ভাবে সদয় বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে জেলা নির্বাচন দফতরের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy