কলকাতায় যা অধরা ছিল, সেই রফা-সূত্রের সন্ধান মিলল বৈদ্যবাটীতে বসে! জট কাটিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আসন-রফা সেরে ফেলল কংগ্রেস। আরও কয়েকটি আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর আগে কংগ্রেস সময় নিয়েছে। একই সঙ্গে সিপিএমের কাছেও কয়েকটি আসনের দাবি জানিয়েছে তারা।
সিপিএমের বৈদ্যবাটির এরিয়া কমিটির কার্যালয়ে শনিবার রাতে দ্বিতীয় দফার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের শেষে তিন দলের নেতারাই প্রকাশ্যে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের আশা, কয়েক দিনের মধ্যে আসনের সংখ্যার নিরিখে জোটের চূড়ান্ত ঘোষণা করে দেওয়া যাবে।
জোট শিবির সূত্রের খবর, পাঁচটি আসন আইএসএফ-কে ছাড়ার আশ্বাস এ দিন দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। নদিয়ায় কংগ্রেসের গত বারের জেতা শান্তিপুর আসন এ বার তারা ছেড়ে দিচ্ছে বামেদের। পক্ষান্তরে, বামেরা ওই জেলার কৃষ্ণগঞ্জ আইএসএফ-কে দেবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম ও জয়নগর, কলকাতার বালিগঞ্জ এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর আইএসএফ-কে দেওয়ার কথা বলেছে কংগ্রেস। উত্তর দিনাজপুরের ইলসামপুর, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের মতো আরও কয়েকটি আসনের দাবি আছে আব্বাসের দলের। নিজেদের দলে আরও আলোচনার সঙ্গে এই দাবির নিষ্পত্তির জন্য সিপিএমের সাহায্যও চেয়েছে কংগ্রেস। জটিলতা এড়াতে এ বার আইএসএফের আসন সংক্রান্ত বক্তব্য কাগজে-কলমে লিখে নেওয়া হয়েছে।
চন্দননগরে যৌথ সমাবেশ সেরে এ দিন রাতে বৈদ্যবাটীতে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান ও সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সেখানে যোগ দেন আইএসএফের চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকি এবং কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিন পক্ষেরই বক্তব্যে স্পষ্ট, দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ সমস্যা আর নেই। উত্তরবঙ্গের কিছু আসন নিয়ে ফের ভাবতে হবে তাঁদের।
বৈঠক শেষে নৌসাদ বলেছেন, ‘‘সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে আগেই কয়েক বার আলোচনা হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে দক্ষিণবঙ্গে আসন-রফা অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ করেছি আরও বিবেচনা করার। আশা করছি, একসঙ্গে মিলে সুস্থ, সুন্দর বাংলা গড়ে তুলতে পারব।’’ বাম বা কংগ্রেস কারও সঙ্গেই তাঁদের সংঘাত নেই বলে দাবি করেছেন নৌসাদ। সিপিএম নেতা সেলিমের মন্তব্য, ‘‘জেলা ধরে ধরে আসনের আলোচনা এগোচ্ছে, সমস্যা নেই। বহু বছর ধরেই আমরা ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করছি, এমন অভিজ্ঞতা কারও নেই। ভাল ভাবে শুরু করেছিলাম, ভাল ভাবেই শেষ করব।’’ মান্নান ও প্রদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘আগে আইএসএফের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়নি। সুস্থ পরিবেশে এখন আলোচনা হয়েছে। আসন ধরে ধরে বিশ্লেষণ করতে হচ্ছে বলে একটু সময় লাগছে। দেরি হচ্ছে মানে কোনও কিছু ভেস্তে গেল, তা নয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy