হাজির: সপ্তম দফা ভোটের জন্য শহরের রাস্তায় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা নিজস্ব চিত্র
চার কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ ৬৪ কোম্পানি বাহিনী। সপ্তম দফায় ভোট হবে কলকাতা পুলিশ এলাকার চারটি কেন্দ্রে। তার জন্য আসছে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ভোটের পাঁচ দিন আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন হোটেল, অতিথিশালায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দিল লালবাজার। নির্বাচনের মধ্যে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশ এলাকার চারটি বিধানসভার ভোট রয়েছে আগামী ২৬ এপ্রিল। বালিগঞ্জ, রাসবিহারী, ভবানীপুর এবং বন্দরের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া হবে ওই দিন। করোনার মধ্যে ওই ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে পার করাই এখন চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুলিশের কাছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সপ্তম দফায় ওই চার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য কাজে লাগানো হবে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে গঠিত ৫৭টি কুইক রেসপন্স টিম
ওই চার কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় টহল দেবে। প্রতিটি দলে চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন এক জন করে কলকাতা পুলিশের অফিসার। কুইক রেসপন্স টিম ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা থাকবেন বুথ এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দায়িত্বে। সেখানে আগের কয়েক দফার মতো এ বারও স্থানীয় পুলিশকে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। চার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৮টি। মোট বুথের সংখ্যা ১২৫৪টি।
লালবাজার সূত্রের খবর, ২৬ এপ্রিলের ভোট হবে কলকাতা পুলিশের ২৬টি থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থরয়েছে শহরে। আগামীকাল ষষ্ঠ দফা ভোট হয়ে যাওয়ার পরে বাকি বাহিনী শহরে পা রাখবে। ভোটের দিন হিংসা বা গোলমাল ঠেকাতে কুইক রেসপন্স টিমের সঙ্গেই থাকবে সেক্টর মোবাইল। মোট ৮৮টি সেক্টর মোবাইল ভোটের আগের দিন থেকে এলাকার টহলদারির দায়িত্ব নেবে। তাতে চার জন করে কলকাতা পুলিশের সদস্য থাকবেন।
অন্য দিকে, ভোটে শান্তি বজায় রাখা এবং বাইরে থেকে যাতে দুষ্কৃতীরা এসে শহরের হোটেল, লজ কিংবা অতিথিশালায় আশ্রয় নিতে না পারে, তার জন্য মঙ্গলবার থেকেই তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। একই সঙ্গে দাগী অপরাধীদের বর্তমান অবস্থান কী, তা-ও নজরে রাখতে বলেছে লালবাজার। সূত্রের দাবি, গোলমাল পাকাতে পারেন এমন কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কাছ থেকে ভোটের দিন বাড়িতে থাকার মুচলেকা আদায় করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ ছাড়া, তাঁরা সকলেই এলাকায় রয়েছেন কি না, তার খোঁজও শুরু হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, সপ্তম দফার ভোটে একটি বুথ রয়েছে এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে হাফ সেকশন বা চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। দুই থেকে চারটি বুথ রয়েছে, এমন ভোটগ্রহণ
কেন্দ্রে এক সেকশন বা আট জন কেন্দ্রীয় জওয়ান সেখানকার দায়িত্ব সামলাবেন। আবার যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পাঁচ থেকে আটটি বুথ রয়েছে, সেখানে দেড় সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা থাকবে। একই ভাবে নয়ের বেশি বুথ রয়েছে এমন কেন্দ্রে দুই সেকশন অথবা এক প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ ২৪ জন থাকবেন ভোট পরিচালনার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy