প্রতীকী ছবি।
‘সোনার বাংলা’ গড়তে আমজনতার পরামর্শ চাইছে বিজেপি। পাড়ায়-পাড়ায় ‘ড্রপ বক্স’ নিয়ে প্রচারে নেমেছেন দলের কর্মীরা। মূলত রাজ্যের উন্নয়ন করতে কী করা উচিত এবং বর্তমানে কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, দাবি দলের নেতাদের। অনেকের হাতে ‘আপনার পরামর্শ’ কার্ডও তুলে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, সবটাই ভোটের আগে ‘নাটক’।
রাঢ়বঙ্গের বিজেপির বুথভিত্তিক সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘সরকার গঠনের পরে ড্রপ বক্সে আসা সাধারণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা হবে। মূল বিষয় হল, সোনার বাংলা গড়তে সাধারণ মানুষের পরামর্শ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা আগামী পাঁচ বছরের দিশা দেখাতে পারবে।’’
দলীয় সূত্রে খবর, প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ‘লক্ষ্য, সোনার বাংলা’ নাম দিয়ে একটি গাড়ি ঘুরবে। তাতে থাকবে ওই বাক্স। জেলা বিজেপি অবশ্য ওই কর্মসূচিকে আরও নিচুস্তরে নামিয়ে আনতে চায়ছে। তাঁদের দাবি, পাড়ায়-পাড়ায় ঘোরা হবে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এখনও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। ফলে অনেকেই মনে করছেন প্রচার দানা বাঁধছে না। কিন্তু প্রচার আর এই পরামর্শ জানাতে ঘোরার মধ্যে ফারাক রয়েছে। এই পরামর্শ ক্ষমতায় আসার পরে কাজে লাগবে। সেই কারণে প্রচারের ফাঁকেই ওই কার্ড দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের। বিজেপি সরকার এলে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কী কী করা উচিত, তা লিখতে আবেদন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ রাজ্যে কোথায় কোথায় উন্নয়নের ঘাটতি রয়েছে সেটাও জানাতে বলা হচ্ছে। কার্ডে নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর দেওয়ারও জায়গা রয়েছে। পরিচয় পুরোপুরি গোপন থাকবে বলেও বিজেপি সূত্রের দাবি। যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, যাঁরা এখনও প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা ক্ষমতা আসার কথা ভাবছে! সবটাই লোকদেখানো, দাবি তৃণমূল নেতাদের।
জেলা বিজেপির দাবি, পুরভোট হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। এলাকার উন্নয়নের সমস্যা, নিকাশি-রাস্তা-জল নিয়ে অনেকের ক্ষোভ থাকে। সেই সব কেউ শুনতে চায় না। বিজেপি তা শুনতে চেয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। মানুষও তাঁদের সমস্যা বলার জায়গা পেলে বিজেপির প্রতি আস্থা বাড়বে, মনে করছেন নেতারা।
বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (কাটোয়া) কৃষ্ণ ঘোষের দাবি, ‘‘অনেক সময়েই মানুষ মুখ ফুটে অনেক কিছু বলতে পারেন না। সেই ভরসার জায়গাটা আমরা করে দিতে চাইছি।’’ যদিও জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কটাক্ষ, ‘‘যাঁরা নিজের দলের কর্মীদের কথা শোনেন না, তাঁরা শুনবেন সাধারণ মানুষের কথা! এ সব ভোটের আগে নাটক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy