ফাইল চিত্র।
জনসভায় ভাষণের মাঝেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বুধবার জলপাইগুড়িতে এক জনসভায় স্মৃতির বক্তৃতা চলাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। তবে মাইক ছাড়াই নিজের বক্তৃতা শেষ করেন তিনি। যদিও স্মৃতির অভিযোগ, তৃণমূলের চক্রান্তেই এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন তিনি।
বুধবার জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুজিত সিংহের হয়ে ভোটপ্রচারে জেলায় এসেছিলেন স্মৃতি। কাঠের ব্রিজের কৃষি বাগান এলাকায় তাঁর জনসভার জন্য সভামঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সভা থেকে কিছুটা দূরে হেলিকপ্টারে করে নামেন মন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে করে সভায় পৌঁছন। সে সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, প্রার্থী সুজিত সিংহ, সাংসদ জয়ন্ত রায় প্রমুখ। স্মৃতির ভাষণের প্রায় ১২ মিনিটের মাথায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ভাষণ থামাননি তিনি। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় মাইক ছাড়াই বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ ছাড়েন তিনি।
বুধবার জলপাইগুড়ির জনসভায় আগাগোড়াই তৃণমূল সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন স্মৃতি। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যবাসীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূল নেত্রী মমতার বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন স্মৃতি। তিনি বলেন, “ ‘জয় শ্রীরাম’ শুনলে দিদি বিরক্ত হন। কিন্তু এখন নন্দীগ্রামে গিয়ে চণ্ডীপাঠ করছেন। দিদির খেলা নন্দীগ্রামেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতারা আমাদের কর্মীদের আক্রমণ করছে। বিজেপি-র প্রচারের গাড়িতে থাকা এলএডি লাইট ভেঙে দিয়েছে। তবে মানুষের সংকল্প ভাঙতে পারবে না। দিদি তোমার পরীক্ষার সময় এসেছে।”
শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্মৃতি। তাঁর কথায়, “শিক্ষক নিয়োগের জন্যও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। গ্রামের রাস্তা সংস্কারের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও দিদির লোকজন রাস্তা তৈরি করছে না। রাস্তার টাকা কাটমানি নিচ্ছে। তারা বলছে, আগে তৃণমূলকে কাটমানি দিতে হবে।”
রাজ্যবাসীর কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে মমতার সরকার ব্যর্থ বলেও অভিযোগ করেন স্মৃতি। তিনি বলেন, “এ রাজ্যে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দেয়নি দিদি। পানীয় জলের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার ৯০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল একটা টাকাও দিতে চায় না। বিজেপি সরকার গঠন করলে চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ৩৫০ টাকা করা হবে। উত্তরবঙ্গের জন্য সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করা হবে।”
তবে স্মৃতির ভাষণের প্রায় ১২ মিনিটের মাথায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন তিনি। এর পর ওই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে মাইক ছাড়াই ভাষণ শেষ করেন স্মৃতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy