ছবি: সংগৃহীত।
ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলির কোভিড-বিধি ভঙ্গ নিয়ে সরাসরি এ বার নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙুল তুললেন রাজ্যের পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র কারণেই রাজনৈতিক দলগুলি নিয়ম-বিধি মানার কোনও তোয়াক্কা করছে না। অথচ পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী, প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে কোভিড-বিধি লঙ্ঘন সবার পক্ষেই ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
পরিবেশবিদ মোহিত রায় জানাচ্ছেন, যে ভাবে সব জায়গায় দোকান-বাজার করছেন মানুষ, সেই একই মানসিকতা নিয়ে তাঁরা জনসমাবেশে জড়ো হচ্ছেন। যেখানে ন্যূনতম কোভিড বিধিও পালন করা হচ্ছে না। তাঁর কথায়, ‘‘এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই সচেতন হতে হত। রাজনৈতিক দলগুলির জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম-বিধি চালু করা, তা মানা হচ্ছে কি না দেখা, সেটা তারা করতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তা করা হচ্ছে না।’’ আর এক পরিবেশবিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘নির্বাচন কমিশনের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত। যাতে আগামী দিনে নির্বাচনের আরও যে কয়েক দফা বাকি, তাতে রাজনৈতিক দলগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম-বিধি পালন করতে বাধ্য থাকে।’’
কিন্তু পরিবেশবিদদের আক্ষেপ, সে সব আর হচ্ছে কোথায়? এক পরিবেশকর্মীর প্রশ্ন, ‘‘কী করে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয় রাজনৈতিক দলগুলি? তাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে কোথাও করোনা নেই। সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। যেখানে বাস্তব পরিস্থিতি ঠিক তার উল্টো।’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত আবার সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি নির্বাচনী প্রচারে কোভিড বিধি যে পালন করা হচ্ছে না, তার জন্য কমিশনের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন সুভাষবাবু। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তথাকথিত এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেন আমাদের বেঁচে থাকার, সুস্থ থাকার মৌলিক অধিকারকে কেড়ে না নেয়, সেটা নির্বাচন কমিশনকেই এখন সুনিশ্চিত করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy