প্রতীকী ছবি।
দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা, দুই জেলা পরিষদ সদস্য-সহ ১০ জনকে তিন বছরের জন্য ‘সাসপেন্ড’ করলেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। এঁদের মধ্যে দিবাকর দলে ‘দাগি’ নেতা হিসাবে পরিচিত। দলবিরোধী কাজের জন্য আগেও তাঁকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করেছে দল। পরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ফের দলে
ফেরানো হয়েছিল।
শনিবার তমলুকে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। সেখানেই তিনি দিবাকর, তাঁর স্ত্রী তথা জেলাপরিষদ সদস্য তনুশ্রী জানা, রঘুনাথপুর-২ পঞ্চায়েত প্রধান শিলাদিত্য আদক, তাঁর স্ত্রী তথা জেলাপরিষদ সদস্য রাখি আদক, পঞ্চায়েত সমিতি’র পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বিভাস কর, পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য-প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ নীলিমা অধিকারী, তাঁর স্বামী তথা খারুই- ২ পঞ্চায়েতের সঞ্চালক সুনীল দেবাধিকারী, কাখরদা পঞ্চায়েতের প্রধান মিনতি পট্টনায়েক, উপ-প্রধান নিকুঞ্জ মান্না ও সঞ্চালক দেবনাথ দাসকে সাসপেন্ড করার কথা জানান। এঁদের অধিকাংশ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
সৌমেন এ দিন বলেন, ‘‘বিধানসভার নির্বাচনের ঘোষণা পর থেকে আমরা দেখেছি, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে নির্বাচিত পদাধিকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁরা এই জেলারই একজন নব্য বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এই সব নেতাদের তালিকা দলের রাজ্য নেতৃত্বদের কাছে পাঠিয়েছিলাম। অন্য ব্লকেও দলবিরোধী কাজে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নাম পাঠানো হয়েছে।’’ সাংবাদিক বৈঠকে সৌমেনের সঙ্গে ছিলেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূল সভাপতি রাজেশ হাজরা, সহ-সভাপতি সেলিম আলি ও তমলুক বিধানসভা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান শরৎ মেট্যা।
কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরে অভিযুক্ত দিবাকরকে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সরানো হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও। মাস দু’য়েক আগে দিবাকরকে দলে ফেরানো হয়েছে বলে কাঁথিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন বিধায়ক অখিল গিরি এবং অর্ধেন্দু মাইতিরা। তার পরে এবার তাঁকে ফের সাসপেন্ড!
এতে অবশ্য ভাবিত নন দিবাকর। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আমার মত রয়েছি। এখন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বেদ রায়কে যিনি হারিয়েছিলেন, সেই সৌমেন মহাপাত্র এবার তমলুকে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এবার সৌমেনবাবুকে ৫ বছরের জন্য সাসপেন্ড করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy