রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে এ বার মাথা ফাটল রাজ্যের এক মন্ত্রীর। নীলবাড়ির লড়াইয়ে তিনি মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীও বটে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সেই গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের। যদিও তা অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। তবে গোটা ঘটনার জেরে উত্তপ্ত এলাকার পরিস্থিতি। মঙ্গলবারই ভোট মিটেছে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। বিজেপি-র অভিযোগ, উস্তি থানার দিয়ারক এলাকায় আইএসএফ কর্মী সুভান শেখ এবং এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বুধবার সকালে আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে যান বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, ফেরার পথে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে তৃণমূল কর্মীরা। গিয়াসউদ্দিনের ছেলের নেতৃত্বে ওই হামলা হয় বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এর পর বুধবার সন্ধ্যায় রাজারহাট এলাকায় গিয়াসউদ্দিনকে ঘিরে ধরে বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তুমুল বাদানুবাদ শুরু হয়। যা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। অভিযোগ, তার মধ্যেই আচমকা গিয়াসউদ্দিনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। আরও ৫ তৃণমূল কর্মী জখম বলে জোড়াফুল শিবিরের দাবি।
গিয়াসউদ্দিনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি এবং আইএসএফ এলাকায় ক্রমাগত সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। এই গুন্ডাবাজি কে বা কারা করছে তা জানতে এলাকায় গিয়েছিলাম। আচমকাই আমার উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়।’’
গিয়াসউদ্দিন আক্রান্ত হতেই ঘটনার প্রতিবাদে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নিমেষেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে উস্তি থানা থেকে আসে পুলিশ বাহিনী। আসে দমকলের একটি ইঞ্জিনও।
গিয়াসউদ্দিনের উপর হামলার অভিযোগ উঠছে বরজাহান শেখ নামে এক বিজেপি নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বরজাহান। তাঁর দাবি, ‘‘গিয়াসউদ্দিন মোল্লা নিজে দুস্কৃতীদের নিয়ে এসে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। ইট, পাথর ছোড়ার পাশাপাশি লাঠি দিয়েও মারধর করেছে। ওদের (তৃণমূল) দুস্কৃতীদের তাণ্ডবেই আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী।’’