অলক মুখোপাধ্যায়, অর্চিতা বিদ ও সুজাতা মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
মুখার্জীপাড়া, পুরনো বাজার ও চৌমাথামোড়। বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া শিল্প-শহরের পাশাপাশি তিন পাড়ার তিন বাসিন্দাকেই এ বার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন।
মুখার্জীপাড়ার বাসিন্দা তথা বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় বড়জোড়ার প্রার্থী হয়েছেন। পুরনো বাজার এলাকার বধূ তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অর্চিতা বিদ হয়েছেন বিষ্ণুপুরের প্রার্থী। চৌমাথা মোড়ের মেয়ে তথা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে দল হুগলির আরামবাগের প্রার্থী করেছে। তিন কেন্দ্রের দিকেই নজর রাখছেন বড়জোড়াবাসীর একাংশ।
গত বার বড়জোড়ায় চলচ্চিত্র তারকা সোহম চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তিনি এলাকায় কয়েক মাস থেকে প্রচার চালালেও অল্প ভোটের ব্যবধানে হারেন। জেলা রাজনীতির ওঠাপড়ার নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, স্থানীয় কেউ প্রার্থী হলে ফল হয়তো অন্য রকম হতে পারত।
প্রার্থী হয়ে অলকবাবু দাবি করছেন, ‘‘মানুষের সেবা করতে করতেই রাজনীতিতে এসেছি। বড়জোড়ার পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে কাজের দায়িত্ব পেয়েছি। এ বার দল আরও বড় সেবার সুযোগ দিয়েছে।’’ বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অর্চিতা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদের স্ত্রী। অর্চিতা বলেন, ‘‘সাবেক ‘মল্লরাজধানী’তে কাজের সুযোগ পেয়ে গর্বিত। সংগঠনের কাজের সূত্রেই বিষ্ণুপুরের সবার সঙ্গে ভাল পরিচিতি রয়েছে। দলের নবীন ও প্রবীণদের নিয়ে প্রচারে নামব।’’
স্কুল শিক্ষিকা সুজাতাও গত কয়েক বছরে জেলা রাজনীতিতে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের নজরেও এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বড়জোড়া থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। আমার লক্ষ্য, আরামবাগের প্রতিটি ঘরের মেয়ে হয়ে ওঠা। সে জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছি।’’
বড়জোড়া চৌমাথা সংলগ্ন ‘দাসের চায়ের দোকান’-এর মালিক শীতেন্দু দাস বলেন, ‘‘তিন জনকে নিয়েই জোর আলোচনা চলছে।” ব্যানার্জীপাড়ার ব্যবসায়ী শ্রীদাম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার বাড়ি থেকে বাজার আসার পথেই বাঁ দিকে অলকদার বাড়ি, ডান দিকে অর্চিতার বাড়ি। আবার দোকানের কাছেই সুজাতার বাড়ি। তিন প্রার্থীই আমার কাছাকাছি।” চৌমাথার মিষ্টি দোকানি রাজেশ পাল বলেন, “তিন প্রার্থীর সঙ্গেই আমার ‘মিষ্টি’ যোগ আছে।’’
বিজেপি-সিপিএমের কটাক্ষ, “বড়জোড়ায় তৃণমূলের অনেক জেলাস্তরের নেতা-নেত্রী আছেন। কিন্তু উন্নয়ন কী এমন হয়েছে?’’ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, “উন্নয়ন মানুষ দেখতে পাচ্ছেন। তিন প্রার্থীও জনপ্রিয়। বিরোধীরা নিজেদের দল নিয়ে ভাবুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy