Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

Bengal Polls: সভা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু, লালগড় থেকে পুলিশ গিয়ে বার করে আনল

শুভেন্দু অভিযোগ করেন, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন তৃণমূলকে জেতানোর জন্য চেষ্টা করছে। বিজেপিকে সভা করতে দিচ্ছে না।

সমর্থকদের সঙ্গে আটকে শুভেন্দু।

সমর্থকদের সঙ্গে আটকে শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লালগড় শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ২১:৫২
Share: Save:

লালগড়ে সভা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তিনি সভা করতে গিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পর স্থানীয়দের নিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। তাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় লালগড় থানার পুলিশকে। শুভেন্দুকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার জেরে শেষ পর্যন্ত সভা না করেই ফিরে যেতে হয় শুভেন্দুকে।

মঙ্গলবার লালগড় থানার রামগড়ে সভা ছিল বীরবাহার। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় মিছিল করার জন্য আগে থেকেই অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শুভেন্দুর সভার জন্য বিজেপি-র তরফে তেমন কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই প্রতিবাদ জানাতে সমর্থক ও স্থানীয়দের নিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল নেত্রী বীরবাহা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি অনুমতি ছাড়াই এখানে সভা করছিল। কেন এই অরাজকতা চলবে?’’

বিজেপি যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঝাড়গ্রামে দলের সভাপতি তুফান মাহাতো বলেন, ‘‘১০ দিন আগে অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবারই ঝাড়গ্রামে আরও দু’টি সভা হয়েছে। একমাত্র রামগড়েই সভা করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নোংরামি করেছে।’’ পুলিশের তরফেও কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

রাস্তায় বসে প্রতিবাদ বীরবাহার।

রাস্তায় বসে প্রতিবাদ বীরবাহার। —নিজস্ব চিত্র।

তবে নিজেদের দাবিতেই অনড় ছিল তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তারা। বিনপুর ১ ব্লকের সভাপতি শ্যামল মাহাতো কমিশনকে লেখা অভিযোগে জানান, তৃণমূল আগে থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য অনুমতি নিয়েছিল। সেই এলাকাতেই বিজেপি অনুমতি ছাড়া সভার ব্যবস্থা করল কী করে? অভিযোগ পেয়ে জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজেপি-র সভা বন্ধ করে দেন। তাতেও বিক্ষোভ থামাননি বীরবাহা এবং তাঁর সমর্থকরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁরা শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভ তুলে নিলেও, সভা না-করে যেতে রাজি হননি শুভেন্দু। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন তৃণমূলকে জেতানোর জন্য চেষ্টা করছে। বিজেপিকে সভা করতে দিচ্ছে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy