প্রতীকী ছবি।
ভোটের আগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ।
সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য গঠিত কলকাতা পুলিশের নির্বাচনী সেলের তরফে প্রতিটি থানাকে জানানো হয়েছে, এ দিন বিকেল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ বন্ধ থাকবে। তবে তার বদলে ভোটের মুখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নতুন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে এ দিন রাত পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রথম দফার ভোটের জন্য আজ, মঙ্গলবার বা কাল, বুধবার পুরুলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানেরা কলকাতায় ফিরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যে ভোটের দামামা বাজার আগেই, ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে শুরু করেছিল তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে এসে পৌঁছয় আরও ছ’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী এসএসবির জওয়ানদের রাখা হয়েছিল কাশীপুরের সেকেন্ড ব্যাটালিয়ন, এ জে সি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুল এবং হাওড়ার ডোমজুড়ের কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে। প্রায় এক মাস ধরে শহরে কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনে ৭২টি থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সকালে-বিকেলে কয়েক দফায় রুট মার্চ করেছেন কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী এসএসবি-র জওয়ানেরা। প্রতি থানাতেই হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা টহল দিতেন। সেই সঙ্গে তাঁরা ওই এলাকার দাগি অপরাধীদেরও খোঁজ করতেন। তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে সতর্ক করে দিতেন। একই ভাবে পলাতক অপরাধীদের বিষয়েও খোঁজখবর করতেন তাঁরা। আর শহরের কোথায় কোথায় বাহিনীর জওয়ানেরা টহল দিয়ে কী কাজ করছেন, তার সব কিছুই ভিডিয়ো করে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাতে হত পুলিশকে।
ভোটের সময়ে বা তার আগে থেকেই শহরের পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সে দিকে তাকিয়েই কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটের প্রায় দেড় মাস আগেই ওই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। মূলত এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের ভয় দূর করাই ছিল তাঁদের কাজ। ফলে ভোটের মুখে ওই বাহিনী সাময়িক ভাবে রুট মার্চ বন্ধ রাখায় সেই কাজ কিছুটা ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন পুলিশের একটি অংশ। তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরে শহরের কোথাও এখনও পর্যন্ত তেমন রাজনৈতিক হিংসা বা গোলমালের কোনও ঘটনা ঘটেনি। যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, তাতে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীই অবস্থা সামাল দিয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।
তবে পুলিশের নিচুতলার একটি অংশের মতে, শহরের ভোটের প্রার্থিপদ জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে প্রচারের পারদ চড়ছে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে শহরে কোনও রকম গোলমাল হলে তা সামাল দেওয়া তুলনায় সহজ হত। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে মোতায়েন থাকলে পুলিশি নিরপেক্ষতা নিয়ে বিরোধী পক্ষের অভিযোগও কিছুটা কমত বলে মনে করছে পুলিশের ওই অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy