শীতলখুচির সেই বুথেই হল ভোটগ্রহন নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে শেষ দফার ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল কোচবিহারের শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথ। শীতলখুচি-কাণ্ডের ১৯ দিনের মাথায় ফের ভোটগ্রহণ ওই বুথে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে ওই বুথের নিরাপত্তায়। রয়েছে রাজ্য পুলিশও।
সকাল ৭টা থেকে শুরু ভোট। চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিযেছে, শীতলখুচির ১২৬ নম্বর বুথ অর্থাৎ জোড়পাটকির আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য বুথের মতোই। অর্থাৎ নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৪ জওয়ান। রয়েছেন রাজ্য পুলিশের এক সদস্যও। এ ছাড়াও আছে কুইক রেসপন্স টিম। দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশ, সাধারণ এবং অতিরিক্ত— মোট এই ৩ পর্যবেক্ষক। তাঁদের আগেই নিযুক্ত করেছিল কমিশন। শীতলখুচি-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই তদন্তে তলব করা হয়েছে ওই ৩ পর্যবেক্ষককেও। সে কারণেই আগের নিযুক্ত ৩ পর্যবেক্ষককে এ বারও ওই বুথের দায়িত্বে রেখেছে কমিশন।
জোড়পাটকির রক্তস্নাত ওই বুথে পুরগয়ার ভোটগ্রহণের নির্দেশ নিয়ে শীতলকুচির বিজেপি প্রার্থী বরেনচন্দ্র বর্মন বলেন, ‘‘গত ১০ এপ্রিলের কথা মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আশা, বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন ১০০ শতাংশ থাকে। সাধারণ মানুষ যেন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’’ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায়ের মন্তব্য, ‘‘মানুষ যেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে পারেন। গত ১০ এপ্রিল যে হত্যালীলা চালানো হয়েছিল, মানুষ ব্যালটে তার জবাব দেবেন।’’
গত ১০ এপ্রিল জোড়পাটকির ওই বুথে বাহিনীর গুলিতে নিহত হন সমিউল মিয়াঁ, মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁ নামে ৪ স্থানীয় বাসিন্দা। তার জেরে ওই দিন বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। শীতলখুচি-কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। পাশাপাশি, শুরু হয়েছে এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট স্তরের তদন্তও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy