গোপালনগরে বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে পোস্টার।
বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল তাঁরই এলাকায়। পোস্টারের নীচে লেখা প্রচারক হিসেবে ‘বনগাঁ উত্তর বিধানসভা বিজেপি বাঁচাও কমিটি’-র নাম রয়েছে। যদিও বিধায়কের অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেন। সম্প্রতি ফের তিনি তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল বনগাঁয়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের তরফে বুধবার পোস্টার-কাণ্ডের দায় অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এখনও বনগাঁ উত্তরের দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি।
মঙ্গলবার থেকেই বনগাঁ উত্তর বিধানসভার গোপালনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা গিয়েছে পোস্টারগুলি। তাতে লেখা ‘মতুয়া-বিরোধী দুর্নীতিগ্রস্ত বিশ্বজিৎ দাস দূর হাটো’, ‘আরএসএস-এর আইটিসি শিবির বন্ধকারী বিশ্বজিৎ দাসকে আমরা বিজেপি থেকে মানছি না, মানব না’। পাশাপাশি, কয়েকটি পোস্টারে নানা দুর্নীতি ও অসামাজিক কাজকর্মের উল্লেখ করে বিশ্বজিৎকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিধায়ক বিশ্বজিতের দাবি, ‘‘ঘটনার পিছনে তৃণমূল জড়িত। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে হার নিশ্চিত জেনে এমন কাজ করছে তৃণমূল। বিজেপি-র নাম করে ওরা পোস্টার দিচ্ছে। আমি দু’বছর আগে বিজেপি-তে এসেছি। আমফান, লকডাউনে দলের সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিল। এই কেন্দ্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছি।’’
বিজেপি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলও ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তৃণমূলের উপর। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই এমন কাজ করছে।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠের দাবি, ‘‘এই পোস্টার বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ। সব জায়গাতেই নতুন যোগ দেওয়া নেতাদের সঙ্গে পুরনো বিজেপি কর্মীদের বিরোধ লেগেছে। এখানেও সেই ঘটনাই ঘটেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy