অসাবধান: হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শোয়ে দূরত্ব-বিধি বা মুখে মাস্ক পরা, কোনও কিছুরই বালাই নেই। ফাইল চিত্র।
গত দেড় মাস ধরে মিটিং-মিছিল তো অনেক দেখলাম। অনেক বক্তব্য শুনলাম। কিন্তু কোভিড মোকাবিলা নিয়ে সচেতনতার বার্তা যেন অনেকটাই অবহেলিত থেকে গিয়েছে। অনেক প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে সব থেকে বেশি আতঙ্কের বিষয়টি অবহেলিতই থেকে গিয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের মুখে কোভিড মোকাবিলার কোনও স্পষ্ট রূপরেখার কথা আরও বেশি করে শোনা গেলে বোধহয় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হত না।
অরিজিৎ ঘোষ
অধ্যাপক
কোভিড মোকাবিলা নিয়ে কোনও দিশা দেখানো তো দূরের কথা, রাজনৈতিক নেতারা নিজেরাই তো কোভিড-বিধি মানছেন না। মাস্ক ছাড়াই সভা-সমিতি করলেন তাঁরা। নিজেরা কোভিড-বিধি না মানলে মানুষকে সচেতনতার বার্তা কী ভাবে দেবেন? কী ভাবেই বা কোভিড মোকাবিলা নিয়ে কোনও রূপরেখা তৈরির কথা বলবেন? প্রচারে শুধুই উন্নয়নের বার্তা। কিন্তু এই উন্নয়ন যাঁদের জন্য করতে চান, তাঁদের অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত। এই মুহূর্তে কোভিড মোকাবিলাকে গুরুত্ব না দিয়ে কি উন্নয়ন সম্ভব?
প্রেরণা মুন্সি
কলেজছাত্রী
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের উদাসীনতা খুবই প্রকট। নিজেদের বক্তৃতায় কোভিড মোকাবিলার বিষয়টি তাঁরা প্রায় উল্লেখ করলেন না বললেই চলে। ক্ষমতায় এলে তাঁরা কোভিডের মোকাবিলা কী ভাবে করবেন, সে বিষয়ে নেতারা কোনও সুস্পষ্ট বার্তা দিলে বা পরিকল্পনার কথা জানালে আতঙ্কে ভোগা সাধারণ মানুষ অনেকটাই ভরসা পেতেন। রাজনৈতিক বক্তৃতায় আরও বেশি করে সচেতনতার বার্তা দেওয়া প্রয়োজন।
শৌনক সরকার
কলেজছাত্র
গত কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার প্রচণ্ড বেড়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের কথায়, বক্তৃতায় কোভিড মোকাবিলা নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি শোনা যাচ্ছে। তবে এখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। অথচ, নেতারা কিন্তু এ বার সাধারণ মানুষের মধ্যে কোভিড মোকাবিলা নিয়ে আরও বেশি করে সচেতনতার বার্তা ছড়াতে পারতেন। কারণ, ভোটের জন্য শুধু শহর নয়, তাঁরা গ্রামে-গঞ্জেও ঘুরছেন। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে কোভিড মোকাবিলায় কী করা হবে, তা নিয়েও আমজনতাকে বার্তা দেওয়া যেত।
শিল্পীতা সেনগুপ্ত
গৃহবধূ
রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে যে ভাবে কোভিড-বিধি ভঙ্গ হয়েছে, যে ভাবে নেতারা মাস্ক না পরে বক্তৃতা দিয়েছেন ও মিছিল করেছেন, তাতে করোনা নিয়ে তাঁরা যে কতটা উদাসীন, সেটা খুব ভাল ভাবেই বোঝা গিয়েছে। এখন শহরে কিছু সেফ হোম হয়েছে। কিছু হাসপাতালে কোভিড শয্যাও বাড়ানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন যেখানে পৌঁছেছে, তাতে এই পরিকাঠামো যথেষ্ট নয়। কী ধরনের ব্যবস্থা নিলে মানুষ আর একটু স্বস্তি পেতে পারেন, নেতারা তা নিয়ে একটু ভাবলে ভাল হত।
সুশ্রী রায়
স্বাস্থ্যকর্মী
করোনা মোকাবিলা নয়, ভোটে কী ভাবে জিততে হবে, সেটাই এখন রাজনৈতিক নেতাদের প্রধান লক্ষ্য। তাঁদের বক্তৃতায় এখন শুধু পারস্পরিক কুৎসার কথা শুনি। কী ভাবে একে অপরকে ছোট করতে পারবেন, তা নিয়েই ওঁরা ব্যস্ত। কোভিড মোকাবিলা অনেক দূরের বিষয়। গত বছরের থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আরও ভাল ভাবে কোভিড মোকাবিলা করা যেত। কিন্তু সে সব নিয়ে নেতাদের কিছু বলতে শুনিনি। এখন পরিস্থিতি লাগামছাড়া। এখন যদি নেতারা সচেতনতার বার্তা দেন, তা কি আদৌ কাজে আসবে?
সপ্তর্ষি রায়
সরকারি কর্মী
আমার দোকানের পাশ দিয়ে যখন মিছিলের তাণ্ডব-নৃত্য চলে বা পাড়ার মাঠের জনসভায় নেতা-মন্ত্রীরা যখন গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা দেন, তখনও কিন্তু করোনার মোকাবিলা নিয়ে কোনও কথা শুনি না। কী ভাবে শুনব? ওঁরা নিজেদের মিটিং-মিছিলে করোনা-বিধি মেনে চলার কোনও চেষ্টা করেছেন কি? নেতাদের কোনও সভায় জনগণকে বলতে শুনিনি যে, তাঁরা বলছেন, যাঁরা মাস্ক পরেননি, তাঁরা আগে তা পরে আসুন। নেতাদের ‘এজেন্ডা’য় করোনার অগ্রাধিকার নেই। যার ফল ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
প্রিয়ব্রত বসু
ব্যবসায়ী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy