কলকাতার ভোটার হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
কলকাতার ভোটার হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর এই ভোটার হওয়ার মধ্য দিয়েই নতুন করে তৈরি হল নীলবাড়ির লড়াইয়ে মহাগুরুর বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জল্পনা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে পদ্মশিবিরে যোগ দেন মিঠুন। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, দল চাইলে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। বিজেপি-ও প্রথম থেকেই তাই চাইছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মিঠুন বাংলার ভোটার না হওয়ায়।
রাজ্যের ভোটার না হওয়ায় বিজেপি-র ভিআইপি প্রার্থী অশোক লাহিড়িকে ইতিমধ্যেই আসন বদলাতে হয়েছে। অটলবিহারী বাজপেয়ী ও মনমোহন সিংহ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা অশোককে বিজেপি প্রথমে আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী করে। কিন্তু পরে জানা যায়, বাংলার ভোটারই নন অশোক। আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ চতুর্থ দফায়, ১০ এপ্রিল। সেই হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৩ মার্চ। পরে অশোকের বদলে আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী করা হয় সুমন কাঞ্জিলালকে। বিজেপি চায়, বালুরঘাট থেকে লড়ুন অশোক। সেখানে ভোটগ্রহণ সপ্তম দফায়, ২৬ এপ্রিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৭ এপ্রিল। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও আসনে প্রার্থী হতে গেলে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ৭ দিন আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভোটার হতে হয়। মিঠুনের ক্ষেত্রে আর সেই সমস্যা রইল না। কারণ, নাম ও আসন ঘোষণার আগেই কলকাতার ঠিকানায় মিঠুন বসন্ত চক্রবর্তী নামে ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেললেন তিনি।
একটা সময় পর্যন্ত বিজেপি-র পরিকল্পনা ছিল টালিগঞ্জ আসনে মিঠুনকে প্রার্থী করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ওই আসনে প্রার্থী করা হয় আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। এই পরিস্থিতিতে নতুন জল্পনা তৈরি হয় যে মিঠুন কি তবে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন না। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আনন্দবাজার ডিজিটালকে সেই সময় বলেন, ‘‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আছেন, তাঁদের সকলকেই আমরা প্রার্থী করতে চাই।’’ তবে কেন মিঠুনের নাম নেই প্রার্থী তালিকায়? তা নিয়ে গত ১৫ মার্চ আনন্দবাজার ডিজিটাল লিখেছিল, এই রাজ্যের ভোটার না হওয়ার জন্যই আপাতত মিঠুনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। ‘পাকা কথা’ হয়ে গিয়েছে এবং তার প্রস্তুতিও ‘মহাগুরু’ শুরু করে দিয়েছেন। সেই খবর মিলিয়ে এ বার কলকাতার ভোটার হলেন মিঠুন।
একটা সময় কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকায় থাকতেন মিঠুন। এখন সেখানে থাকেন তাঁর বোন শর্মিষ্ঠা সরকার। কলকাতায় এলে সেটাই হয় মিঠুনের ঠিকানা। এ বার রাজা মণীন্দ্র রোডের সেই ঠিকানাতেই ভোটার হলেন মহাগুরু। ফলে বাংলার যে কোনও প্রান্ত থেকে তাঁর আর ভোটপ্রার্থী হওয়ায় কোনও বাধা রইল না। তবে রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন তিনি। চৌরঙ্গী এবং কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসনে যাঁদের প্রার্থী করেছে বিজেপি, তাঁরা পদ্ম প্রতীকে লড়বেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। পদ্মশিবির সূত্রে খবর, এই দু’টি আসনের একটি থেকে লড়তে পারেন মিঠুন। এই দুই আসনেই ভোটগ্রহণ অষ্টম দফায়, ২৯ এপ্রিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৭ এপ্রিল। ফলে তার জন্য অনেকটাই সময় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy