ব্রিগেডের সভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মিঠুন চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে মিঠুন চক্রবর্তীকে। শুক্রবার এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতা শঙ্কর ঘোষের বিজেপি-তে যোগদানের কর্মসূচিতে মিঠুনের ভোটে লড়ার ইঙ্গিত দেন কৈলাস। তাঁর বক্তব্য, মিঠুন নিজে ভোটে লড়তে না চাইলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে।
শিলিগুড়ির বিজেপি দফতরে ওই যোগদান কর্মসূচির পর কৈলাস বলেন, ‘‘মিঠুন বলেছেন, নির্বাচনে লড়বেন না। তবুও আমরা মিঠুনের সঙ্গে কথা বলব। তাঁকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করার চেষ্টা করব।’’ তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ মিঠুন যদি বিজেপি-র প্রার্থী হন তবে বিধানসভা ভোটে নিঃসন্দেহে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে। গত ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে ধুতি-পাঞ্জাবির ‘বাঙালিবাবু’র সাজে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় হুঙ্কার ছেড়েছিলেন সুপারস্টার। সভার পর আলাদা করে তাঁর সঙ্গে মিনিট পনেরো কথাও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তখন জানা গিয়েছিল, তাঁকে প্রচারে ব্যবহার করার কথাই ভাবছে বিজেপি। মিঠুন নিজেও বলেছিলেন, তিনি শুধু প্রচারই করবেন।
বস্তুত, শুক্রবার থেকেই প্রচারে নামার কথা ছিল ‘মহাগুরু’র। ঠিক ছিল, শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের প্রার্থিপদে মনোনয়ন দাখিল করার পর তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে নন্দীগ্রাম যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, মিঠুন রবিবার কেশপুরে প্রচারে যেতে পারেন। যদিও তাঁর প্রচারসূচি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। মিঠুন আপাতত কলকাতা শহরেই রয়েছেন। নিজের বিভিন্ন পেশাগত দায়বদ্ধতা মেটাতে। সেখানে তাঁর বিভিন্ন ঘনিষ্ঠকে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি-র হয়ে ‘জান লড়িয়ে’ দেবেন।
ঘটনাচক্রে, বিজেপি-তে যোগদানের দু’দিন পরেই মিঠুনের জন্য ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সাধারণত দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কারও উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে, এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই সুরক্ষা দেওয়া হয়। মিঠুনের জন্য নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচারের ব্যবস্থা করতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে, বিধানসভা ভোটে তিনি যে বিজেপি-র অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হতে চলেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আসন্ন বিধানসভা ভোটে কি মিঠুনকেই ‘মুখ’ করে লড়বে বিজেপি? তিনিই কি হবেন দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী? এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি কৈলাস। তিনি শুধু বলেন, ‘‘এ রাজ্যে বিজেপি-তে নেতার অভাব নেই। ভোটের পর সমস্ত নির্বাচিত বিধায়ক পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন করবেন। তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy