কংগ্রেস নেতা নারায়ণ নন্দীকে জড়িয়ে ধরলেন মানস। বৃহস্পতিবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
অনভ্যাস বহুদিনের। তবু এখনও নাড়ির গতি দেখে বুঝতে পারেন শরীর গতিক। কিন্তু কেমন বুঝলেন ভোটের গতি?
সবংয়ের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া বললেন, ‘‘বাম-কংগ্রেস নিজেদের কাজটা ঠিক ভাবে করলে আর টেনশন নেই। নিজেদের ভোটটা ওরা (বাম-কংগ্রেস) ওদের প্রার্থীকে দিক। তা হলে আমার জেতা আটকাবে না।’’ এ বার জিতলে আটবার বিধানসভায় যাবেন সবংয়ের ডাক্তারবাবু। ভোট-ব্যস্ততাতেও নিজেই ফিরলেন অতীতে। মানস বললেন, ‘‘২০০১ সালে একবার হেরেছিলাম। আর ১৯৯৬-তে তো কোর্টে গিয়ে জিতেছিলাম। জাস্টিস শ্যামল সেনের সেই ঐতিহাসিক রায়।’’
জোট নিজের কাজ করবে, মনে এই আশা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চরকি পাক দিতে বেরিয়েলেন মানস। সঙ্গে স্ত্রী গীতা। প্রাক্তন বিধায়ক। স্ত্রীয়ের জায়গায় এ বার প্রার্থী স্বামী। ভুঁইয়া দম্পতি নিজেদের বাসন্তী রঙে রাঙিয়ে (মানসের পরনে সিগনেচার বাসন্তী পাঞ্জাবি-ধুতি, গীতাও পরেছিলেন বাসন্তী শাড়ি) উঠলেন এসইউভিতে। চাঁদকুড়ি ইউনিয়ন হাইস্কুলের বুথে ঢুকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে এলেন মানস। বললেন, ‘‘মহিলা পরিচালিত বুথ। ভাল ভোট হচ্ছে।’’ বুথে ঘুরতে ঘুরতেই সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ জানতে পারলেন সবংয়ে ভোট পড়েছে তখন পর্যন্ত ১৩%। দলের ক্যাম্প অফিস দেখলেই গাড়ি থেকে নেমে তৃণমূলকর্মীদের উদ্দেশে বললে, ‘‘যা যা ভোটার নিয়ে আয়। সকলকে ভোট দিতে আসতে বল।’’
তৃণমূলের অন্দরে কথিত, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সম্পর্কে বই হলে তাতে নাকি একটা পরিচ্ছদ থাকবে মানস বনাম অমূল্য নিয়ে। অমূল্য অর্থাৎ অমূল্য মাইতি। মানস কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসার পরে যে বিবাদের (আদি-নব্য) শুরু তা এ বার ভিন্ন রূপ পেয়েছে অমূল্যের গেরুয়া শিবিরে যোগদান ও প্রার্থী হওয়ায়। অমূল্যও সকাল থেকে ঘুরেছেন বুথ থেকে বুথে। অমূল্য বললেন, ‘‘সবং এ বার বিজেপির হবে। ’’ তবে পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অমূল্যের দাবি উড়িয়ে বললেন, ‘‘অমূল্য যদি জেতে তা হলে পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে সাইক্লোন বয়ে যাবে।’’
অজিত পিংলার তৃণমূল প্রার্থী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাঁরও। বললেন, ‘‘পিংলার বিভিন্ন বুথে বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না।’’ অভিযোগ, ‘‘কাওয়াগেড়িয়ায় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের বলেছেন, মোদীজি ভাল। মোদীজি এলে উন্নয়ন হবে।’’ পিংলায় দু’দলের জেলা সভাপতির লড়াই। অজিতের বিরুদ্ধে প্রার্থী বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। বললেন, ‘‘ইভিএমের দু-একটা সমস্যা হলেও সঙ্গে সঙ্গেই মিটে গিয়েছে।’’পোশাকে ভুঁইয়া দম্পতি রং মিলান্তি হলেও ভরসা বামেই। সাধারণত সবুজ পাঞ্জাবিতে দেখা গেলেও এ দিন অজিত পরেছিলেন লাল পাঞ্জাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy