প্রতীকী ছবি।
বিক্ষিপ্ত গোলমাল এবং দু’জায়গায় বোমাবাজি ছাড়া মোটামুটি শান্তিতেই মিটেছে কলকাতার ভোট। আগামী কাল ভোটের ফল বেরোনোর পরে শহরের বুকে সেই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চান কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। এ বিষয়ে শুক্রবার থেকেই প্রস্তুত হতে থানার ওসি-দের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভোটের ফল পরবর্তী হিংসা ঠেকানোর জন্য শহরে থাকছে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে ৯ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে শহরের ১৫টি গণনা কেন্দ্রে। বাকি বাহিনীকে বিভিন্ন ডিভিশনে শান্তি বজায় রাখার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার থানার আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কমিশনার। ভোটের আগে অফিসারেরা যে ভাবে নিজ নিজ এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে তৎপর হয়েছিলেন, ঠিক সেই ভাবে তাঁদের ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে বলেছেন তিনি। এ ব্যাপারে থানাগুলিকেও পরিকল্পনা করতে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে। কমিশনারের আরও নির্দেশ, যে হেতু করোনা পরিস্থিতিতে কোনও রকম বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন, তাই সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
ভোট মেটার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। বৃহস্পতিবার রাতে জোড়াসাঁকোয় বিরোধী দলের এজেন্টকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ফল প্রকাশের পরবর্তী সময়ে সেই রাজনৈতিক হানাহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের একাংশ। সে কথা মাথায় রেখেই কমিশনার এ দিন বৈঠক করেন বাহিনীর সঙ্গে।
লালবাজার সূত্রের খবর, ভোটের ফল ঘোষণার পরে শহরের যে সব জায়গায় গন্ডগোল ছড়ানোর আশঙ্কা আছে, সেই এলাকাগুলি বেছে নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে ওসি-দের। দরকারে সেখানে পুলিশ পিকেটও বসানো হতে পারে বলে খবর। গোলমালের আশঙ্কায় সব থানাকে সতর্ক থাকতে বলেছে লালবাজার। ছোট কোনও ঘটনা যাতে বড় আকার না নেয়, তা দেখতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। এ ছাড়াও বিভিন্ন ডিভিশনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাঁরা দ্রুত সেখানে পৌঁছতে পারে।
আগামী কাল কলকাতা পুলিশ এলাকায় ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গণনা। সেখানেই তৈরি হয়েছে স্ট্রং রুম। কলকাতা পুলিশ এলাকা ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিনটি কেন্দ্রের ইভিএম রয়েছে সেখানে। প্রতিটি স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে এক প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাতে থাকছেন ২৪ জন জওয়ান। গণনা কেন্দ্রের বাইরের নিরাপত্তা দেখার কথা কলকাতা পুলিশের। তার জন্য এক জন ইনস্পেক্টরের নেতৃত্ব ১৫ জনের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy