কাঞ্চন মল্লিক, প্রবীর ঘোষাল —ফাইল চিত্র।
উত্তরপাড়ায় পা রেখেই ‘বহিরাগত’ ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন ওই কেন্দ্রের তৃণণূল প্রার্থী তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া ওই কেন্দ্রের বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে নিযে তাঁর মন্তব্য, ‘‘উনি বিজেপি-তে গিয়েছেন। তাই তিনি বহিরাগত।’’ পাল্টা কটাক্ষে প্রবীরের জবাব, ‘‘কাঞ্চন মল্লিক কেমন সেলিব্রিটি আমার জানা নেই!’’
শনিবার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা পর উত্তরপাড়ার শিবতলায় তৃণমূলের দলীয় দফতরে পৌঁছন কাঞ্চন। অভিনেতাকে এক ঝলক দেখতে কার্যত ভিড় জমে যায় এলাকায়। তৈরি হয় বিশৃঙ্খলাও। কাঞ্চনকে ফুল, মালা এবং শঙ্খধ্বনিতে বরণ করে নেন তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘আমি উত্তরপাড়ার মানুষের পাশে আছি, সঙ্গে আছি। যা উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি তাতে সাধারণ মানুষ আমার মন জয় করে নিয়েছেন। এ বার আমাকে ওঁদের মন জয় করতে হবে। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।’’ উত্তরপাড়ায় তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া আগের বারের বিধায়ক প্রবীর সম্পর্কে কাঞ্চন বলেন, ‘‘উনি তো চলে গিয়েছেন। তা হলে বহিরাগত কে উনি না আমি?’’
কাঞ্চনের কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন প্রবীরও। তাঁর দাবি, ‘‘কোন্নগরে আমার বাড়ির পুজোর বয়স ৫৬৫ বছর। তাই আমাকে যদি কেউ বহিরাগত বলেন তা হলে তাঁকে লোকে পাগলও বলতে পারে।’’ এর আগে উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক হন গায়ক অনুপ ঘোষাল। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রবীরের মন্তব্য, ‘‘সেলিব্রিটি প্রার্থী হলে কি হয় তা উত্তরপাড়ার মানুষ টের পেয়েছেন আগে। বিজেপি উর্বর জমির উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই তৃণমূল ভূমিপুত্র কাউকে খুঁজে পায়নি। কাঞ্চন মল্লিক কেমন সেলিব্রিটি আমার জানা নেই!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy