ফাইল চিত্র।
“সাগরদিঘিতে প্রার্থী বদল হবে না। পারিস তো তোরা ভাল করে হারিয়ে দে গা” প্রার্থী বদলের দাবি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যেয় তাঁর কাছে যাওয়া সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতাদের স্পষ্ট ভাবে এ কথা জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
আর এই জবাব পেয়েই সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল আরও জট পাকাল।
সাগরদিঘিতে এবারে বড় তিন দল যে প্রার্থী দিয়েছে তাদের তিন জনই বহিরাগত। আর তা দেখেই কংগ্রেস নেতাদের একাংশের দাবি ছিল এবার বহিরাগত প্রার্থী দেওয়ার। কিন্তু তা মানেননি কংগ্রেস নেতারা। প্রার্থী করা হয়েছে হাসানুজ্জামানকে। তৃণমূলের সুব্রত সাহা এবং বিজেপির মাফুজা খাতুনও বহিরাগত প্রার্থী।
কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, স্থানীয় কোনও বাসিন্দাকে সাগরদিঘিতে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তিনি বহিরাগত। এনিয়ে বুধবার সন্ধ্যেয় অধীরবাবুর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানান কয়েকজন কংগ্রেস নেতা।
তাদের আশা ছিল আলোচনায় বিবাদ মিটবে। সেই মত সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতারা বুধবার সন্ধ্যেয় দেখাও করেন অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বহরমপুরে। কিন্তু বরফ তো গললই না বরং সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে কোন্দল আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা সজল মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাগরদিঘিতে ভূমিপুত্র প্রার্থী চেয়ে দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু বড় দলগুলির সকলেই বহিরাগত প্রার্থী দিয়েছে এবারে। কংগ্রেসও তাই। এই ক্ষোভ বিক্ষোভ মেটাতেই আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম অধীরদার কথা মতই। কিন্তু তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন প্রার্থী বদল করা হবে না। পারিস তো তোরা ভাল করে হারিয়ে দে গা। এ কথা শুনেই চলে আসি আমরা।”
তিনি বলেন, ‘‘এরপর আর আলোচনার পরিস্থিতি ছিল না। তাই ফিরে আসি। তাই ঠিক হয়েছে, কংগ্রেস কর্মী ও নেতারা মিলে স্থানীয় প্রার্থী দাঁড় করানো হবে। এটা সাগরদিঘির আবেগের ব্যাপার। যারা সত্যি ভূমিপুত্র প্রার্থী চান তারাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’’
সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সামশুল হোদা বলেন, “অধীরবাবু যা বলেছেন সাগরদিঘির কংগ্রেস কর্মীরা তা শুনেছেন। শুক্রবার আমরা আলোচনায় বসব। সেখানেই প্রার্থী কে হবেন তা ঠিক করা হবে। সাগরদিঘির মানুষের দাবি তো অন্যায় কিছু নয়। বহিরাগত বিধায়ক হওয়ার যন্ত্রণা দীর্ঘ দিন ধরে বয়ে বেরাচ্ছে সাগরদিঘির মানুষ। এতেই বোঝা যায় সাগরদিঘির কাউকেই যোগ্য মানুষ ভাবেন না রাজনৈতিক দলগুলি। এটা অসম্মানজনক। আমরা এর প্রতিবাদ করে স্থানীয় প্রার্থী চেয়েছি। আমরা ভোট দিয়ে বিধায়ক তৈরি করব, আর বার বার কাজের জন্য তার কাছে ছুটে যেতে হবে মানুষকে তা আর মানা যায় না।”
সাগরদিঘির ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মীর বদরুল হক অবশ্য বলেন, “কংগ্রেস নেতাদের কেউই একমত হয়ে একজনকে প্রার্থী বাছাই করতে পারেননি। তাই বহিরাগত দিতে হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল এড়াতে। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy